গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অপমৃত্যুর তদন্তের দ্বিতীয় দিনে সুশান্তের পরিচারককে দ্বিতীয় বার জেরা করল সিবিআই। সুশান্তের মৃত্যুর দিন তাঁর ফ্ল্যাটেই উপস্থিত ছিলেন নীরজ। শুধু নীরজই নন, আজ তদন্তকারী দলটি জিজ্ঞাসাবাদ করে সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও। পাশপাশি, সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটটি পরিদর্শনেও যান তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন সিদ্ধার্থ এবং নীরজ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই সুশান্তের মৃত্যুর দিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে তারা।
অন্য দিকে, সুশান্তের এক প্রতিবেশী শনিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১৩ জুন, মৃত্যুর আগের রাতে নাকি খুব তাড়াতাড়ি সুশান্তের ফ্ল্যাটের সমস্ত আলো নিভে যায়। একমাত্র রান্নাঘরের আলোই নাকি জ্বলছিল। ওই প্রতিবেশীর প্রশ্ন, যে সুশান্ত সারা রাত জেগে থাকেন, যাঁর ঘরে সারা রাত আলো জ্বলে তিনি কেন হঠাৎ ওই দিন অত তাড়াতাড়ি ‘ঘুমিয়ে’ পড়লেন? যদিও এর আগে সুশান্তের মৃত্যুর আগের রাতে অভিনেতার বাড়িতে রাতভর পার্টির যে গুঞ্জন উঠেছিল তা উড়িয়ে দিয়ে ওই মহিলা বলেন, “মনে হয় না পার্টি হয়েছিল। যদি হত তা হলে আওয়াজ শোনা যেত।’’
পাশপাশি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এমসের চার সদস্যের এক ফরেন্সিক দল খুব শীঘ্রই সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরীক্ষা করবে। ওই টিমের প্রধান চিকিৎসক সুধীর গুপ্ত এ দিন জানান, “কোনও ভাবে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে কি না তা সরেজমিন খতিয়ে দেখাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।” একটি সূত্র বলছে, সুশান্তের বাকি কর্মচারী এবং কয়েক জন বন্ধুকে খুব শীঘ্রই ডাক পাঠাবে সিবিআই।
নীরজকে নিয়ে আসা হচ্ছে সুশান্তের ফ্ল্যাটে
A post shared by Varinder Chawla (@varindertchawla) on
আরও পড়ুন- যিশু আর আমাকে লড়িয়ে দিতে চেয়েছেন অনেকেই: আবির.
শুক্রবার মুম্বইয়ে প্রথম দিনের অনুসন্ধানে সুশান্তের পরিচারক, ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, মুম্বই পুলিশের ডিজিপি এবং এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে জেরা করা হয়েছিল। যে হাসপাতালে সুশান্তের ময়নাতদন্ত হয়েছিল সেই কুপার হাসপাতালেও গিয়েছিল ওই দলটি। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা। তবে তার স্থান এখনও নির্ধারিত হয়নি।
ডাকা হয়েছে সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও
A post shared by Varinder Chawla (@varindertchawla) on
আরও পড়ুন- সুশান্তের মৃত্যুর দিন রিয়াকে হোয়াটসঅ্যাপে কী লিখেছিলেন মহেশ? প্রকাশ্যে চ্যাট
অন্যদিকে এ দিন নীরজ জানান, মৃত্যুর দিন সুশান্ত তাঁর কাছে ঠান্ডা জল খেতে চেয়েছিলেন। তিনি খেয়েছিলেন। জুসও খেয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। সুশান্ত দুপুরে কী খাবেন তা জানতে নীরজ ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, তা লক করা। ডাকাডাকির পর তাঁর সাড়া না পেয়ে খবর দেওয়া হয় তালা খোলার লোককে। তিনি আসেন। ভাঙা হয় তালা। সিদ্ধার্থই প্রথমে ঘরে ঢুকে অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে জানিয়েছেন ওই পরিচারক।