Kangana Ranaut

‘সাম্প্রদায়িক বিভেদ এবং ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছেন কঙ্গনা’, এফআইআর-এর নির্দেশ আদালতের

ফের বিপাকে কঙ্গনা রানাউত। মুম্বইয়ের একটি আদালত অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ১৯:২২
Share:

কঙ্গনা রানাউত।

ফের বিপাকে কঙ্গনা রানাউত। মুম্বইয়ের একটি আদালত অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয়। জনৈক কাস্টিং ডিরেক্টর কঙ্গনার বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন জমা করেন। তাঁর অভিযোগ, অভিনেত্রী বলিউডকে কালিমালিপ্ত করার এবং তাঁর টুইটের মাধ্যমে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মনে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

আদালতে কাস্টিং ডিরেক্টর সাহিল আশরাফালি সৈয়দের পিটিশন মঞ্জুর করার পর বান্দ্রার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অর্ডার পাশ করেন। কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলি চান্ডেলের নামও রয়েছে সেই পিটিশনে।

সাহিল বলেন, “কঙ্গনা খুব ভাল ভাবেই জানেন যে তিনি একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী। তাই তাঁর করা টুইট বহু মানুষের কাছে পৌঁছবে। তিনি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। নিজের সব টুইটে ধর্ম টেনে এনে কথা বলছেন।”

আদালত জানিয়েছে, টুইটার এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নানা সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার বিভিন্ন কথার উপর ভিত্তি করে তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই মর্মে সমস্ত টুইট এবং সাক্ষাৎকার খতিয়ে দেখার এবং পুলিশকে অভিনেত্রী ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

নিজের অভিযোগকে আরও মজবুত করার জন্য সাহিল কঙ্গনার পুরনো কিছু টুইটের প্রসঙ্গে টেনে আনেন। বিএমসির আধিকারিকদের ‘বাবরের সেনা’ বলে কটাক্ষ করে টুইট এবং সর্বপ্রথম শিবাজি মহারাজ ও ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈকে নিয়ে ছবি তৈরি করার দাবি করে কঙ্গনার টুইটের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: মিঠুনের স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন মডেল

সাহিল জানান তিনি একজন কাস্টিং ডিরেক্টর এবং ফিটনেস ট্রেনার। রাম গোপাল বর্মা, সঞ্জয় গুপ্ত এবং নাগার্জুনের মতো নামী পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, কঙ্গনা বলিউডকে নেপোটিজম ও স্বজনপোষণের কেন্দ্রস্থল এবং সেখানকার কর্মরত প্রত্যেককে খুনি, সাম্প্রদায়িক, মাদকাসক্ত বলে কালিমালিপ্ত করছেন। তাঁর দিদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

সাহিলের দাবি, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫এ এবং ১২৪এ ধারায় কঙ্গনা এবং তাঁর দিদি রঙ্গোলির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হোক। এ ছাড়াও তিনি কঙ্গনার মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করার প্রসঙ্গে টেনে আনেন।

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কৃষকদের টুইটারে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেছিলেন কঙ্গনা। দিন কয়েক আগেই আদালতের নির্দেশে কর্ণাটক পুলিশ কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এ বার সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ এনে আরও একটি এফআইয়ার দায়ের করার নির্দেশ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। এমন অবস্থায় কী করবেন কঙ্গনা? এখন সেটাই দেখার।

Advertisement

আরও পড়ুন: সত্যি-মিথ্যের দোলাচলে কোনটা 'শিরোনাম'? প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন পরিচালক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement