bengali mega serial

হাতে ফোস্কা না ফেলেই মাছের মুড়ো ভাজলেন কাদম্বিনী, মুখোমুখি দ্বারকানাথের দাপুটে বাবার?

গত সপ্তাহেই খুশি মনে সমস্ত মেয়েদের নিয়ে কাদম্বিনী উঠে এসেছেন মাস্টারমশাইয়ের কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের নতুন বাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২০ ১৪:৫৭
Share:

বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই কাদম্বিনীর! প্রত্যেক দিন নতুন নতুন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। কখনও রান্নার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কখনও মুখোমুখি হতে হচ্ছে মাস্টারমশাই দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাপুটে বাবার।

Advertisement

গত সপ্তাহেই খুশি মনে সমস্ত মেয়েদের নিয়ে কাদম্বিনী উঠে এসেছেন মাস্টারমশাইয়ের কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের নতুন বাড়িতে। কী বিশাল সেই বাড়ি। কত সূক্ষ্ম কারুকাজ অলিন্দে, বারান্দার জাফরিতে। সারি সারি চারা গাছ দিয়ে সাজানো বাড়িটা। সবার এক দেখাতেই মনে ধরেছে নতুন বাড়ি।

বাংলার প্রথম হবু মহিলা ডাক্তারও বেজায় খুশি। কিন্তু তার আগে তাঁকে ইয়া বড় বড় মাছের মুড়ো ভাজতে হয়েছে, যা রিল লাইফের তো বটেই, রিয়েল লাইফের ‘কাদম্বিনী’ ঊষসী রায়ও ছুঁয়ে দেখেননি জীবনে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নজরে রিয়ার কল লিস্ট, রহস্যময় ‘এইউ’-কে খুঁজছে সিবিআই

অথচ শট এক টেকেই ওকে! কী করে?

কাদম্বিনী সামলাতে পারবেন তো এত রাগী মানুষকে? ছবি:সংগৃহীত

ঊষসী অনেকগুলো কারণ দেখালেন, ‘‘এক, কাদম্বিনীর মতো আমিও জীবনে রান্না ঘরে যাইনি। ফলে, পুরোটা বাস্তব হয়ে উঠেছে। যদিও কাদম্বিনী যেমন মাছের গন্ধে নাকে আঁচল চাপা দেন ওটা আমি করি না। দুই, প্যাশনের জন্য মানুষ সোনা মুখ করে অনেক কিছু করে ফেলে। আমিও অভিনয়টাকে নিখুঁত করার জন্য কাজটা করেছি। এবং এক টেকেই ওকে! আর তাই আমার থেকে বড় সাইজের খুন্তি আর কড়াইয়ে রান্না করতে হলেও ব্যাপারটা সামলে নিতে পেরেছি।’’

পাশাপাশি তাঁর মতে, ঝুড়িতে রাখা গোটা মাছগুলোকে ভাগ্যিস কিছু করতে হয়নি। নইলে তিনি নির্ঘাৎ চাপে পড়ে যেতেন।

আরও পড়ুন: করোনাকালের সাজ বিলাস! নির্ভয়ে সালোঁতে কোন কোন টলি তারকা?

প্রথম রান্না, হাতে ফোস্কা পড়েনি? ‘‘একেবারেই না। যাতে না ফোস্কা পড়ে তার জন্যই আমায় ফুটন্ত তেলে রান্না করতে দেওয়া হয়নি। আমি মুড়ো ভেজেছি মাঝারি আঁচে। তাছাড়া, রান্না না করলেও মাকে তো রাঁধতে দেখি নিয়মিত। সেই টেকনিকগুলো অ্যাপ্লাই করেছি’’ হাসতে হাসতে রহস্য ফাঁস কাদম্বিনীর।

এ বার মাস্টারমশাইয়ের বাবাকে সামলানো। ছেলের বাড়িতে এক দল যুবতীকে দেখেই কি বাবার অত রাগ?

ঊষসীর কথায়, ছেলে ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। কোন বাবা সেটা ভাল চোখে দেখবেন? ফলে, সেই অসন্তোষ তো ছিলই। তার ওপর বাড়িতে এক দল যুবতী মেয়ে থাকতে এসেছে পড়াশোনা করবে বলে। তারা নাচছে, গাইছে। ফলে, তিনিও রেগে লাল!

কাদম্বিনী সামলাতে পারবেন তো এত রাগী মানুষকে? ‘‘রিল লাইফের কথা জানি না এখনও পুরোটা তবে রিয়েল লাইফে আমার সঙ্গে মণ্টু কাকুর বন্ডিং দুর্দান্ত। যেই শুনেছি ‘বকুল কথা’র পর আবার সুমন্ত মুখোপাধ্যায় আমার শ্বশুর মশাই হচ্ছেন, হাতে যেন চাঁদ পেয়েছি। ইপি, পরিচালক দেখেছেন, রীতিমতো লাফালাফি শুরু করে দিয়েছিলাম আনন্দে। আমার সঙ্গে মন্টু কাকার গল্প শুরু হলে থামতেই চায় না। কতবার বকা খেয়েছি এই নিয়ে! ভীষণ ভাল মানুষ। সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেন। বাইরেটায় ওরকম রাগী!’’

কাদম্বিনী থোড় কেটেছেন, মাছের মুড়ো ভেজেছেন। ভাবী শ্বশুর মশাইকেও নিশ্চয়ই সামলে নেবেন। আর কী কী করবেন আগামী দিনে?

দ্বারকানাথের জীবন এর আগে পর্দায় একেবারেই আসেনি। আগামী মহাপর্ব থেকে সেদিকটা এ বার জানবেন দর্শক। এর বেশি আপাতত বলতে নারাজ ঊষসী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement