কেরিয়ারের শুরুতেই সুপারস্টারের প্রেমে হাবুডুবু। শোনা যায়, সেই ঘনিষ্ঠতাই নাকি কাল হয়েছিল অঞ্জু মহেন্দ্রুর। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই সম্পর্ক। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
অঞ্জুর জন্ম ১৯৪৬ সালে, মুম্বইয়ে। ১৩ বছর বয়সে শুরু মডেলিং। অঞ্জু ছিলেন কবি কইফি আজমির ‘আবিষ্কার’। তিনি-ই তাঁর কথা বলেছিলেন বাসু ভট্টাচার্যকে। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
১৯৬৬ সালে বাসু ভট্টাচার্যের পরিচালনায় অঞ্জু প্রথম অভিনয় করেন ‘উসকি কহানি’ ছবিতে। তাঁর এবং অভিনেতা বাসু ভট্টাচার্য, দু’জনেরই প্রথম ছবি ছিল ‘উসকি কহানি’। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
এরপর ‘জুয়েল থিফ’, ‘দস্তক’, ‘বন্ধন’-সহ বেশ কিছু ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। মূলত পার্শ্বচরিত্রেই তাঁকে বেশি দেখা গিয়েছে। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
নবাগত অঞ্জুর সঙ্গে রাজেশ খন্নার কীভাবে আলাপ হয়েছিল জানা যায় না। তবে, তাঁদের প্রেমপর্ব ছিল ইন্ডাস্ট্রির মুখ্য আলোচ্য। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
সুপারস্টার রাজেশ খন্নার প্রতি অঞ্জু ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। রাজেশও তাঁকে আর্থিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে কোনওরকম কার্পণ্য করতেন না। শোনা যায়, ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ অবধি, টানা সাত বছর লিভ ইন করেছিলেন রাজেশ-অঞ্জু। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
কিন্তু সাতের দশকের গোড়ায় ভেঙে যায় তাঁদের বহুচর্চিত সম্পর্ক। ১৯৭২ সালে রাজেশ বিয়ে করেন ডিম্পল কাপাডিয়াকে। কিন্তু সে সম্পর্কও ভেঙে যায়। ১৯৮৪ সালে দুই মেয়েকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান ডিম্পল। তবে তাঁদের বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
শোনা যায়, অঞ্জু এবং ডিম্পল, দু’ ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদের কারণ ছিল রাজেশের ওভার পজেসিভনেস। এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জু জানিয়েছিলেন, তিনি শাড়ি পরলে রাজেশ বলতেন পাশ্চাত্যের পোশাক পরতে। আবার স্কার্ট পরলে বলতেন ভারতীয় পোশাকে সাজতে। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
অঞ্জুর কেরিয়ার নিয়েও আপত্তি ছিল রাজেশের। রাজেশ চেয়েছিলেন দ্রুত বিয়ে করতে। কিন্তু অঞ্জু তখনই কেরিয়ার শেষ করে বিয়েতে রাজি ছিলেন না। ডিম্পলের অভিনয় নিয়েও নাকি আপত্তি ছিল রাজেশের। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে অঞ্জুর কেরিয়ারের কফিনে কার্যত শেষ পেরেক পুঁতেছিলেন রাজেশ। এমনকি, তাঁর বিয়ের শোভাযাত্রা নাকি ইচ্ছে করে নিয়ে গিয়েছিলেন অঞ্জুর বাড়ির সামনে দিয়ে! (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
তবে অঞ্জু বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন কথাবার্তাও বন্ধ ছিল। ১৭ বছর পরে তাঁরা ফের কথা বলেন ১৯৮৮ সালে। পরে অসুস্থ রাজেশের খোঁজ রাখতেন অঞ্জু। শোকে মুহ্যমান অঞ্জুকে দেখা গিয়েছিল রাজেশের শেষযাত্রাতেও। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
রাজেশ-অঞ্জুর সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পিছনে আরও একটি সমীকরণ ছিল। তা হল, বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার স্যর সোবার্সের সঙ্গে অঞ্জুর সম্পর্ক। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
ছয়ের দশকের শেষে সোবার্সের সঙ্গে আলাপ অঞ্জুর। সে সময় ভারতে টেস্ট খেলতে এসেছিল ওয়েস্টইন্ডিজ। রাজেশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে থাকতেই তিনি সোবার্সের ঘনিষ্ঠ হন। সেটা রাজেশ মেনে নিতে পারেননি। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
তবে সোবার্সের সঙ্গে অঞ্জুর সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি। শোনা যায়, দূরত্বের কারণেই তাঁদের প্রেম ভেঙে যায়। ১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান বান্ধবী প্রু কার্বিকে বিয়ে করেন সোবার্স। তার আগে তিনি চিঠিতে সে কথা জানিয়ে সম্মতি নেন অঞ্জুর। সম্মতি জানিয়ে দু’জনকে শুভেচ্ছা জানান অভিনেত্রী। ১৯৯০ সালে সোবার্সের দাম্পত্য ভেঙে যায়। নিজের আত্মজীবনীতে সোবার্স অঞ্জুর ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করেছেন।(ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
বর্ষীয়ান অঞ্জু এখন মূলত টেলিভিশনের অভিনেত্রী। ‘ডার্টি পিকচার’, ‘পেজ থ্রি’-তে অভিনয় করলেও তাঁর মূল লক্ষ্য এখন ছোট পর্দা। অবসর কাটে রাস্তার পশুদের সেবা-যত্ন করে। এ ছাড়া শখ আছে বাগান সাজানোরও। কাজের ফাঁকে এই শখ দিয়েই দূরে রাখেন একাকিত্ব আর নিঃসঙ্গতাকে।(ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)