‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবির দৃশ্য।
কথায় বলে, সব ভাল যার শেষ ভাল। ভুলতে চাওয়ার এই বছর শেষে সেরা উপহার যেন পেল উইন্ডোজ প্রোডাকশণের ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’। ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নবাগত পরিচালক বিভাগে মনোনীত হয়েছে ছবিটি।
সামাজিক কুসংস্কার ভেঙে নতুন দিকে এগিয়ে যাওয়ার গল্প এক মহিলা পুরোহিতের লড়াইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়। চলতি বছরের ৬ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। ছক ভাঙা গল্পের সঙ্গেই মুখ্য চরিত্রের ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং সোহম মজুমদারকে উদার মনে গ্রহণ করেছিলেন দর্শক। কিন্তু ছবির সাফল্যে বাধ সাধে করোনা অতিমারি। লকডাউনের জন্য বন্ধ হয়ে যায় প্রেক্ষাগৃহগুলি। পরিচালক অরিত্রর মনে সেই স্মৃতি এখনও স্পষ্ট। বললেন, “ছবিটা খুব ভাল চলছিল। যে দিন হলগুলি হঠাৎ বন্ধ হল, সে দিনও দু’টো শো প্রায় হাউসফুল ছিল। এত প্রশংসা আর সাফল্যের পর এ রকম হওয়ায় আমরা সবাই খুব ভেঙে পড়েছিলাম।” কিন্তু বছর শেষে সেই দুঃখ ধুয়ে মুছে সাফ। প্রথম ছবিতেই এ রকম সাফল্যে উচ্ছ্বসিত অরিত্র। তাঁর কথায়, “আমার খুবই ভাল লাগছে। এটা ‘ব্রহ্মা জানেন…’ এর জন্য বিশাল বড় পাওয়া। অনিন্দ্যদা (চট্টোপাধ্যায়) খবরটা শোনার পর ফোন করে বললেন ভগবান আমাদের এ বছরের সব চেয়ে বড় উপহার দিলেন। আমার টিম পাশে না থাকলে এই কাজ সম্ভব হত না।”
আরও পড়ুন: বর্ষশেষে মাইকের সামনে বচ্চন পরিবার, তৈরি হচ্ছে সঙ্গীত
ছবির সাফল্যে খুশি প্রযোজক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ও। তাঁরা না থাকলে এ ধরনের বিষয় নিয়ে ছবি করাটাই সম্ভব হত না বলে মনে করেন অরিত্র। পরিচালক জানালেন, তাঁরাই হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ছাত্রের এই সাফল্যে খুশি শিক্ষকরাও।
অন্য দিকে, ‘শর্বরী’ ঋতাভরীর গলাতেও উচ্ছ্বাস স্পষ্ট। অভিনেত্রী বললেন, “এই ছবিটা আমার কাছে খুবই স্পেশ্যাল। কুসংস্কার ভেঙে মানুষকে উদার হওয়ার বার্তা দিতে পেরেছি এই ছবির মাধ্যমেই। ‘ব্রহ্মা জানেন…’ যে সম্মান পেয়েছে তা শুধু আমাদের টিমেরই জন্যই নয়, প্রত্যেক বাঙালীর কাছেই গর্বের বিষয়। সত্যিই বছরের সেরা উপহারটা পেলাম।”
আরও খবর: বিরজু মহারাজের সরকারি বাংলোর মেয়াদ বাড়ল আরও ২২ দিন