শুরুর দিনে অনেকটাই আশা দেখাল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’।
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরলস সাধনার ফসল অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ৯ স্পেটেম্বর, শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল সেই ছবি। পুরাণ আর ফ্যান্টাসির মিশেলে অতিলৌকিক চিত্রনাট্যে প্রথম বার একসঙ্গে পর্দায় ধরা দিলেন রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্ট। আর ফলাফল?
অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের সুফলও পাওয়া গেল প্রথম দিনেই। সকাল সকাল প্রেক্ষাগৃহে ৪০-৫০ শতাংশ আসন ভর্তি। বহু দিন পর এত বড় করে শুরু হল কোনও হিন্দি ছবির বাজার। মনে করা হয়েছিল, প্রথম দিনে বক্স অফিসের সংগ্রহে আসবে ২৫ কোটি টাকা। যদিও এ ছবির বাজেটও অনেকটাই বেশি। দিনের শেষে মোট হিসাব স্পষ্ট হবে।
‘থাগস অফ হিন্দুস্তান’-এর পর সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরিতে। ছবির বাজেট ছিল ৪১০ কোটি টাকা। যা উঠবে কি না, সে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন নির্মাতারা। চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ অবশ্য আগেই বলেছিলেন, “ব্রহ্মাস্ত্র একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র, যা বক্স অফিসে হিন্দি ছবির মন্দার বাজারে দিশা দেখাতে পারে।”
অন্য দিকে বাণিজ্য বিশ্লেষক কোমল নাহাটা বলেছিলেন “ব্রহ্মাস্ত্রের উদ্বোধন নিঃসন্দেহে বড়সড় ভাবে হতে চলেছে। বয়কট সংস্কৃতির মৃত্যু এই ছবির হাতেই।”
সেই মতোই শুরুর দিনে অনেকটাই আশা দেখাল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। দু’লাখের বেশি টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। বাকিটা হল ৯ তারিখ। দেশে ১০ হাজার পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়ার পাশাপাশি বিদেশেও তিন হাজার পর্দায় চলছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ডিজনি ছড়িয়ে দেবে আরও পাঁচ হাজার পর্দায়। সব মিলিয়ে এখনও অবধি পরিকল্পনামাফিক উঠছে গ্রাফ। তরণ আদর্শ ছবি দেখে কিছুটা নাক সিঁটকালেও মোটের উপর প্রতিক্রিয়া আশাপ্রদ। আবারও অয়নকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কর্ণ জোহর। চলচ্চিত্র ব্যবসা বিশেষজ্ঞ গিরিশ জোহর বললেন, “চিত্রনাট্য ভাল হলে, ছবি ভাল হলে, বয়কট সংস্কৃতি ধোপে টিকবে না।”