শ্রীদেবী, মাধুরীদের নাচ শিখিয়েছেন বলিউডের ‘মাস্টারজি’ সরোজ খান। ছবি: সংগৃহীত।
আদতে তাঁরা নৃত্যশিল্পী। বিভঙ্গে শিল্পসম্মত কমনীয়তা ফুটিয়ে তোলাতেই তাঁদের কৃতিত্ব। কিন্তু স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশিই কঠোর মনোভাব দেখাতেন বলিউডের ‘মাস্টারজি’ সরোজ খান। যাঁর তত্ত্বাবধানে পর্দায় নেচেছেন শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিত, ঐশ্বর্যা রাই থেকে আলিয়া ভট্ট— বলিউডের তাবড় নায়িকা। কিন্তু ‘মাস্টারজি’র মেজাজ নিয়ে সকলেই ছিলেন ত্রস্ত। কেন এত মেজাজি ছিলেন সরোজ খান? সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বলিউডের আর এক নামী নৃত্য পরিচালক টেরেন্স লুইস।
এক সাক্ষাৎকারে টেরেন্স তুলেন আনেন বলিউডে পুরুষ আধিপত্যের প্রসঙ্গ। তিনি দাবি করেন, বিশেষত নৃত্য পরিচালনার ক্ষেত্রে যে ভাবে পুরুষের আধিপত্য দেখে বলিউড, তাতে টিকে থাকতে হলে হাতে গোনা মহিলা শিল্পীদের একটু বেশি কঠোর হয়ে উঠতেই হয়।
টেরেন্স বলেন, “অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেন মাস্টারজি এত মেজাজি ছিলেন?’ তাঁদের জানা উচিত, এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা খুবই কঠিন, বিশেষত যেখানে এতখানি পুরুষ আধিপত্য বিরাজ করে। এখানে মহিলা নৃত্য পরিচালকদের রুক্ষ্ম স্বভাবের হতেই হয়। এই দুনিয়ার নিষ্ঠুরতাই ওঁদের ভিতরের নারীসুলভ কোমলতা নষ্ট করে দিয়েছে। ওঁদের পুরুষ হয়ে উঠতে হয়েছে।”
আসলে পুরুষের থেকেও বেশি রূঢ় হয়ে উঠতে হয়েছে সরোজ খান বা ফারহা খানের মতো নৃত্য পরিচালকদের। টেরেন্সের মতে এমন তাঁদের হতে হয়েছে, কারণ প্রমাণ করার দায় ছিল, ওঁরা খুব হালকা নন। টেরেন্স বলেন, “আমাদের অত দাপট দেখাতে হয় না। কিন্তু পুরুষশাসিত ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের এই দাপট দেখাতেই হয়। এটা খুবই দুঃখের। ওঁদের হাটা-চলা, কথা বলা সবই পুরুষোচিত হয়ে গিয়েছে।”
১৯৫০ সালের পর ব্যক-আপ ডান্সার হিসাবে নিজের কাজ শুরু করেছিলেন সরোজ খান। ১৯৭৪ সালে ‘গীতা মেরা নাম’ ছবিতে কোরিয়োগ্রাফি করেই প্রথম সাফল্য পান তিনি। তার পর একের পর এক ছবিতে কাজ করেছেন। তবে তাঁর সর্বাধিক সাফল্য শ্রীদেবী ও মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গেই।