তিলোত্তমা সোম। —ফাইল চিত্র।
আগে নিয়ম ছিল, নায়িকাদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই। এখন হয়েছে উল্টো। হলিউডের নায়িকারা গর্ব করে নিজেদের বয়স বলেন। ৫০-এ কে কতটা সুন্দরী, ৬০-এ কে কতটা ফিট, ৭০-এও কে জমিয়ে অভিনয় করছেন, সে সব এখন কলার তোলার বিষয়। খুব পিছিয়ে নেই বলিউডও। আলিয়া ভট্ট নির্দ্বিধায় তাঁর ৩০ বছরের জন্মদিন উদ্যাপন করেন। ৩৭-এ তাক লাগানো ম্যাটার্নিটি শুট করে বিপাশা বসু সকলকে চমকে দেন।
তবে বয়স লুকোনোর প্রবণতা কয়েক কয়েক বছর আগেও ছিল। আশি বা নব্বইয়ের দশকের অভিনেত্রীদের মধ্য এ প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যেত। কারণ, তখন পরিচালক এবং প্রযোজকদের বদ্ধমূল ধারণা ছিল, যদি দর্শক নায়িকাদের বয়সের হদিস পান, তা হলে তাঁদের ব্যবসা মার খাবে। তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে সিনেমার ভাষা, গল্প এবং পরিচালক প্রযোজকদের চিন্তাধারাও। নায়িকারাও এখন অনেক বেশি স্পষ্টবাদী। এই যেমন নিজের বয়স প্রকাশ্যেই শুধরে দিলেন অভিনেত্রী তিলোত্তমা সোম।
শেষ কয়েক বছরে তিলোত্তমার অভিনয় বেশ নজর কেড়েছে দর্শকের। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি কাজ, ‘নাইট ম্যানেজার ২’ এবং ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’। দুই ক্ষেত্রেই প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেত্রী। অভিনেতা বা যে কোনও নামজাদা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বিশদে জানার জন্য অনুরাগীরা ইন্টারনেটের সাহায্য নেন। আরও ভাল ভাবে সেই ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বুঝতে বা জানতে গেলে ‘উইকিপিডিয়া’র শরণাপন্ন হন। সেখানেই যদি ভুল তথ্য থাকে, তা হলে তো বেশ মুশকিল। তেমনই এক ভুল ধরলেন তিলোত্তমা। উইকিপিডিয়ায় নায়িকার বয়স লেখা রয়েছে ৩৫ বছর। এটা দেখেই সরব অভিনেত্রী। টুইট করলেন তিনি।
টুইটে তিলোত্তমা লেখেন, “উইকিপিডিয়ায় লেখা আমার বয়স ৩৫ বছর। কিন্তু আসলে তো আমার বয়স ৪৪। আমি কী ভাবে পরিবর্তন করে সঠিক বয়সটি লিখব? এই পাতাটি আমি তৈরিও করিনি। কেউ সাহায্য করলে ভাল হয়। অগ্রিম ধন্যবাদ জানালাম।” অভিনেত্রীর এই টুইট পড়ে অনেকেই সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন। নানা জন নানা ধরনের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যেই উইকিপিডিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে তিলোত্তমার বয়স।