দিল্লিতে শাহিদ কপূর নিজের আসন্ন ছবি ‘দেবা’-র প্রচারে। —নিজস্ব চিত্র।
এক বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন শাহিদ কপূর। ‘তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’-র পর রণোন্মত্ত পুলিশ আধিকারিকের অবতারে অভিনেতা। ছবির ঝলকেই সে ইঙ্গিত মিলেছে। মঙ্গলবার দিল্লির কনৌট প্লেসের অভিজাত হোটেলের সাংবাদিক বৈঠকে অভিনেতা হাজির হলেন পরিচিত মেজাজে। পরনে কালো ভেলভেটের সুট, রংমিলন্তি পোশাকে পাশে পূজা।
এখন আর সব ধরনের ছবি করেন না শাহিদ। সময় নিয়ে বাছেন চরিত্র। এই ছবির জন্য প্রায় দু'বছর প্রস্তুতি নিয়েছেন শাহিদ। সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিলেন তিনি। শাহিদ বললেন, “পরিচালকের সঙ্গে এক বছরের আলোচনা এবং প্রস্তুতি। তার পর আরও এক বছর শুটিং। এই ছবিকে আমার জীবনের অনেকটা সময় দিয়েছি।”
এ দিকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির চর্চিত মুখ পূজা এখন বলিউডেও পায়ের নীচের জমি শক্ত করতে চাইছেন। শাহিদের সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আরও ভাল চিনতে পেরেছেন পূজা। বললেন, “ভাল সহ-অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি শাহিদ খুব ভাল পরামর্শদাতাও। আমার অভিনয়জীবন প্রসঙ্গে ওঁর থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি, যা ভবিষ্যতে আমাকে সাহায্য করবে।”
‘কবীর সিংহ’ ছবিটির মাধ্যমেই প্রত্যাবর্তন করছেন অভিনেতা। ‘দেবা’-র ঝলক মুক্তি পাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে কবীর সিংহের সঙ্গে তুলনা। শাহিদের বিস্তর আপত্তি রয়েছে এই তুলনা নিয়ে। জানালেন, প্রত্যেকটি চরিত্র এক অপরের থেকে আলাদা। শাহিদের কথায়, “ছবি দেখলে বোঝা যাবে দু’টি চরিত্র কতটা আলাদা। কারণ কবীরের চরিত্র দেখে মানুষ আমাকে টমি সিংহ (‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবিতে শাহিদের চরিত্র)-এর সঙ্গে তুলনা করতেন। কিন্তু ছবিমুক্তির পর সেই ধারণা বদলে যায়।”
শাহিদ কপূর ও পূজা হেগড়ে তাঁদের নতুন ছবি ‘দেবা’-র সাংবাদিক সম্মেলনে। —নিজস্ব চিত্র।
শাহিদ অভিনীত একাধিক চরিত্র দর্শক মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। যে কোনও চরিত্র নির্বাচনের আগে নিজের মনকে বোঝার চেষ্টা করেন অভিনতা। হেসে বললেন, “যদি মনের মধ্যে উত্তেজনা অনুভব করি, তা হলে বুঝতে পারি সঠিক চরিত্র নির্বাচন করেছি।” আর ছবি মুক্তির আগে কোনও উদ্বেগ? শাহিদের কথায়, “ফ্লোরে কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। ভয় করে ছবি মুক্তির আগে।” কারণ শাহিদ মনে করেন, দর্শক ছবি দেখে কী মনে করছেন, সেটা না জানা পর্যন্ত মনের মধ্যে ভয়টা জমাট বেঁধেই থাকে তাঁর।