বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন একেবারে অন্য ঘরানার একটি ছবিতে অন্য ধাঁচের এক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তার পরেও ছবি ও চরিত্র বাছার ক্ষেত্রে বলিউডের গতে বাঁধা রাস্তায় হাঁটেননি অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। বরং, ব্যতিক্রমী সব চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু ছবি বা চরিত্র বাছার ক্ষেত্রে নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার দিক থেকেও যে আর পাঁচ জন বলিউড অভিনেতার থেকে বেশ আলাদা ভাবে ভাবেন আয়ুষ্মান, তার প্রমাণ মিলেছিল ইউনিসেফের সঙ্গে তাঁর চুক্তি থেকেই। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে ‘এলজিবিটিকিউআইএ’-এর সদস্যদের জন্য নতুন কিছু করতে উদ্যোগী হলেন বলিউড অভিনেতা।
চণ্ডীগড়ে ‘এলজিবিটিকিউ’-দের সাহায্যার্থে ‘ফুড ট্রাক’-এর ব্যবসায় বিনিয়োগ করলেন আয়ুষ্মান খুরানা। ছবি: সংগৃহীত।
‘প্রাইড মান্থ’ নামে পরিচিত জুন মাস। যৌনতার নিরিখে প্রান্তিক যাঁরা, তাঁদের জন্য এই মাসের গুরুত্ব অপরিসীম বললে কিছু বেশি বলা হয় না।তাঁদের আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য পাশে দাঁড়ালেন আয়ুষ্মান। চণ্ডীগড়ে ‘এলজিবিটিকিউআইএ’-দের সাহায্যার্থে তাঁদের ‘ফুড ট্রাক’-এর ব্যবসায় বিনিয়োগ করলেন অভিনেতা। তাঁরা যাতে সমাজে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, সে কথা ভেবেই এই উদ্যোগ আয়ুষ্মানের। অভিনেতার মতে, ‘‘এক জন অভিনেতা হিসাবে সমাজের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থাকেই। মানুষের ভালোবাসার জন্যই তো আমরা সমাজে একটা বিশেষ জায়গা অর্জন করতে পারি। সেই জায়গা থেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেত পারি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার বিশ্বাস, অন্তর্ভুক্তিই একটা সুস্থ সমাজ গঠনের প্রাথমিক স্তম্ভ। প্রত্যেকের উচিত নিজেদের সাধ্যমতো একে অপরকে সাহায্য করা। আমরাও চেষ্টা করি, যাতে অন্যেরা অনুপ্রাণিত হন। আমরা যদি একজোট হয়ে একে অপরের বিপদে তাঁদের পাশে থাকার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারি, তা হলেই সমাজ এগোতে পারবে, আমরাও আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’’ এর আগে বলিউড পরিচালক অভিষেক কপূরের ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’ ছবিতে অভিনেত্রী বাণী কপূরের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আয়ুষ্মান। ওই ছবিতে এক জন রূপান্তরিত নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বাণী কপূর। তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন আয়ুষ্মান।
পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রুপান্তকামী ছাত্র ধনঞ্জয় চৌহান সমাজমাধ্যমের পাতায় ফুড ট্রাকের ছবি শেয়ার করেন। আয়ুষ্মানকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘রুপান্তরকামীদের পাশে থাকার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আপনার সাহায্য ছাড়া আমরা নিজেদের স্বপ্নপূরণ করতে পারতাম না। চণ্ডীগড়ের প্রশাসন ও পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় এখন রুপান্তরকামীদের এই ব্যবসায় সাহায্য করবে।’’