প্রয়াত পরিচালক সিদ্দিক ইসমাইল। ছবি: সংগৃহীত।
বিনোদন জগতে ফের শোকের ছায়া। দিন কয়েক আগেই নিজের স্টুডিয়োতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্প নির্দেশক নিতিন দেশাই। এই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যে ফের দুঃসংবাদ। সলমন খানের ‘বডিগার্ড’ ছবির পরিচালক সিদ্দিকি ইসমাইল প্রয়াত। সোমবার বিকেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তড়িঘড়ি কোচির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরিচালককে। টানা ৩০ ঘণ্টা লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ হাসাপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খ্যাতনামী এই পরিচালক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩।
বেশ কয়েক দিন ধরেই নিউমোনিয়া ও লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে হঠাৎই হার্ট অ্যাটাক হয়। একটা গোটা দিন একমো সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। পরে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয় পরিচালককে। তবে মঙ্গলবাল রাতে প্রয়াত হন মালয়ালি সিনেমার এই জনপ্রিয় পরিচালক।
আশির দশকে কেরিয়ারের শুরু। তিন দশকের বেশি সময় দক্ষিণী ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতে তিনি সিদ্ধহস্ত।‘রামাজি রাও স্পিকিং’ ছবি দিয়ে পরিচালনায় হাতেখড়ি।এর পর ‘গডফাদার’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘হিটলার’, ‘ফ্রেন্ডস’, ‘ভিয়েতনাম কলোনি’-র মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।হিন্দিতে খুব বেশি ছবি না করলেও প্রথম ছবিই হিট। বলিউডে তাঁর অভিষেক হয় ‘হলচল’ ছবির মাধ্যমে। প্রিয়দর্শন পরিচালিত এই ছবির চিত্রনাট্যকার ছিলেন তিনি। তার পর ২০১১ সালে সলমন খান, করিনা কপূর অভিনীত ‘বডিগার্ড’ ছবি পরিচালনা করেন।তাঁর পরিচালিত শেষ ছবি হল মোহনলাল ও আরবাজ় খান অভিনীত ‘বিগ ব্রাদার’।
তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকগ্রস্ত দক্ষিণী ছবির জগৎ।পরিচালকের প্রয়াণের খবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন অভিনেতা দুলকর সলমন। শোক প্রকাশ করেন অতুল অগ্নিহোত্রী ও মোহনলালরা।