আনন্দবাজার ডিজিটাল ২০২০ সালের ‘বছরের বেস্ট’ বেছে নিয়েছিল ৫ জনকে। তাঁদের মধ্যে সেরার সেরা হলেন দিতিপ্রিয়া রায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের হাত থেকে সেই পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত উৎফুল্ল অভিনেত্রী।
রাজভবন। সেখানেই নক্ষত্রদের যাতায়াত। জমজমাট বটে, কিন্তু শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশ। তারাদের ভিড় না বলে সমাবেশ বললেই ভাল। করোনা সংক্রমণের কারণে কম সংখ্যক অতিথিদের নিয়েই হল আনন্দবাজার ডিজিটালের ‘বছরের বেস্ট’ অনুষ্ঠান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজভবনের গাড়িবারান্দায় এসে পৌঁছল একের পর এক বড় গাড়ি। কোনওটা থেকে নামলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কোনওটা থেকে পাওলি দাম ও তাঁর স্বামী অর্জুন দেব। কোনওটায় আবার সুপারস্টার দেব, কোনওটায় আবার সুমন মুখোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হলেন ইন্ডাস্ট্রির কনিষ্ঠতম থেকে জ্যেষ্ঠতম তারকা। ‘রাণীমা’কে উপদেশ দিলেন প্রসেনজিৎ। তাঁদের হাসি ঠাট্টায় যোগ দিলেন অতিথিরাও।
মঞ্চে পাওলি দামের সঙ্গে ‘কলঙ্কিনী রাধা’ গানে গলা মেলালেন দিতিপ্রিয়াও। পাওলি ও প্রসেনজিতের সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন সকলের আদরের ‘রাণীমা’।
মঞ্চে ডাকা হল রাজ্যপাল এবং সাংসদ-অভিনেতা দেবকে। জানা গেল, একে অপরের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই সেলুলয়েড সূত্রে মিলেছেন তাঁরা। দেবের ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি দেখে অভিনেতার ‘ফ্যান’ হয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানের পর আড্ডায় মাতলেন তাঁরা। সঙ্গে নাট্যব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায়।
মঞ্চে স্বাগত ভাষণে ‘আনন্দবাজার গ্রুপ অব পাবলিকেশনস’-এর এডিটর এমিরেটাস এবং ভাইস চেয়ারম্যান অভীক সরকার। সকল অতিথিকে ধন্যবাদ জানান আমন্ত্রণ রক্ষার জন্য। পুরস্কার বাছাইয়ের মাপকাঠির কথাও জানালেন উপস্থিত অতিথিদের।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনখড়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভীক সরকার, তাঁর স্ত্রী রাখি সরকার।
চলল ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’। আড্ডায় মাতলেন সকলে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছবি ও টেলিভিশনের জগতের তারকা থেকে তাবড় ব্যবসায়ীরাও।
তার পরে চলল ছবির তোলার ধুম। অনেক দিন বাদে সকলের সঙ্গে সকলের দেখা। ডক্যুমেন্টেশন প্রয়োজন বলে কথা। লাল শাড়িতে ইশা সাহা, সোনালি শাড়িতে দিতিপ্রিয়া, হলুদ টি-শার্টে দেব ও কালো শাড়িতে পাওলি পোজ দিলেন ছবির জন্য।
নব দম্পতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও দেবলীনা কুমার বাড়িতে ভাইয়ের বিয়ে ছেড়ে কালো বেনারসি ও কালো কুর্তা পরে হাজির হয়েছিলেন আদরের ‘দিতি’-র জন্য।
তাঁর ‘গোগো’ (গৌরব চট্টোপাধ্যায়) যে তাঁর জন্য সময় বের করে রাজভবনে এসেছেন, তাতে বড্ড খুশি রানি রাসমণি। ছবিতেই তা স্পষ্ট।
শুধু তাই নয়, দিতিপ্রিয়ার উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিল ‘টিম রাসমণি’। ভূপাল-খ্যাত বিশ্বাবসু বিশ্বাস, গদাধর সৌরভ সাহা ও দ্বারিকা নিলোৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজভবনের দরজা খুলে দিয়ে সকলকে আপ্যায়ন করতে ভুললেন না জগদীপ ধনখড়।
স্ত্রী জিনিয়া সেনকে নিয়ে এসেছিলেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। রাজভবনের ভিতরে ছবি তুললেন দুই লাভ-বার্ডস।
লেডি অব দ্য ডে-র সঙ্গে কথাবার্তায় ব্যস্ত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। মাঝে দাঁড়িয়ে দিতিপ্রিয়ার মা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি হর্ষবর্ধন নেওটিয়া ও চন্দ্রশেখর ঘোষ।
পাওলি দাম, সত্যব্রত দে এবং তাঁর কন্যা রচিতা দে-র সঙ্গে আলাপ করলেন সস্ত্রিক জগদীপ ধনখড়।
নন্দু বেলানি, চন্দ্রশেখর ঘোষ, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া এবং রূপালি বসু-সহ আরও অনেক বিশিষ্ট মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
রাখি সরকার ও অভীক সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন মেঘদূত রায়চৌধুরী ও পলিন।
করোনা সংক্রমণকে মাথায় রেখে সমস্ত আয়োজন করা হয়েছিল। শিল্পপতি থেকে শুরু করে টলিউডের তারকার সমাবেশে সকলের আদরের দিতিপ্রিয়াকে আশীর্বাদ করলেন বয়োজ্যেষ্ঠরা।
এক ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানের শেষে চা-জলখাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ৭-৮ রকমের আইটেম সহ গরম গরম চা। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে করতে বেশ সুন্দর কাটল শুক্রবারের এই সন্ধ্যা।
কলকাতার স্বনামধন্য শিল্পপতি থেকে শুরু করে তারকাদের সঙ্গে আড্ডায় রাজ্যপাল।