বাবাকে নাকি সহ্য করতে পারতেন না ববি! ছবি: সংগৃহীত।
‘গদর ২’ এর সাফল্যের পর কাছাকাছি দেওল পরিবার। ধর্মেন্দ্রের প্রথম পক্ষের সন্তান সানি দেওল ও ববি দেওলের সঙ্গে সম্পর্কের বরফে গলেছে হেমা মালিনীর মেয়েদের। যদিও তাঁদের দাবি বরাবরই এতটাই ভাল ছিল সম্পর্ক। মায়ানগরী অন্দরে অবশ্য দেওলদের নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে একসময় নাকি ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল ছেলে ববির। বাবাকে নাকি সহ্য করতে পারতেন না অভিনেতা। কী কারণে এমন অবনতি সম্পর্কে এত বছর পর মুখ খুললেন ‘আশ্রম’ খ্যাত অভিনেতা।
১৯৯৫ সালে ‘বরসাত’ ছবিতে বলিউডে অভিষেক ধর্মেন্দ্রপুত্র ববি দেওলের। তার পর ছোট ছোট বিরতিতে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু ২০১৮ সালে ‘রেস ৩’-র পর দীর্ঘ দিন তাঁকে আর পর্দায় দেখা যায়নি। কারণ হিসেবে অভিনেতা জানান, তিনি সংসারী মানুষ। পরিবারের সঙ্গে থাকতে ভালবাসেন। তার পর আশ্রম ‘সিরিজ়’এর মাধ্যমে অভিনয়ে ফেরেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার জীবনের ওঠাপড়া নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বাবা ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
ঘোরতর সংসারী ববি এক সময় পরিবারের থেকে দূরে সরে যান। বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। দিন দিন ভয়ডরহীন হয়ে ওঠেন। ববির কথায়, ‘‘১৮ বছর বয়সে প্রথম ডিস্কোতে যাই। তার পর থেকেই আমার ভিতরের বিপ্লবী সত্তা জেগে ওঠে। আমি তার পর থেকেই বাবা-মাকে এড়িয়ে চলতাম। তাঁদের কোনও কথাই কানে তুলিনি সেই সময়। প্রায় বছর খানেক এমনই চলতে থাকে। আমার ভালর জন্য কিছু বললে সেটাও বুঝতাম না। একেবারে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেই নিয়েছিলাম বাবার কোনও কথা শুনব না। তখন আমার ও বাবার সম্পর্ক সব থেকে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।’’
শোনা যায় হেমা মালিনীকে বিয়ে করার পর থেকেই নাকি প্রথম পক্ষের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে ধর্মেন্দ্রের। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে সব থেকে বেশি আঘাত আনে ববির উপরই। পরিবারে অন্দরের সম্পর্কের সমীকরণ যে ভাবে বদলে যায় তা কিছুতেই মানতে পারছিলেন না ববি। তবে কঠিন সময় পার করে একেবারে জোটবদ্ধ হয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে দেওলরা।