ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র আট সপ্তাহের সফর। আর তাতেই ‘বিগ বস্ ওটিটি’ রিয়্যালিটি শোয়ের দ্বিতীয় সিজ়নের বিজেতা হয়েছেন হরিয়ানার এলভিস যাদব। ছোট থেকে পড়াশোনায় ভাল ছিলেন। তবে এলভিসের জীবন বদলে দেয় ইউটিউব। বিরাট অনুরাগী সংখ্যা তাঁর। ‘বিগ বস্ ওটিটি’ শেষ ১৫ মিনিটে নাকি ২৮ কোটি ভোট পেয়েছেন তিনি, জয়ের পর এমনই দাবি করেন এলভিস। যদিও তার পরও নজির গড়েছেন তিনি। ২৪ ঘণ্টা ক্যামেরাবন্দি এই ঘরে তিনিই প্রথম ওয়াইল্ড কার্ড প্রতিযোগী, যিনি বিজেতা হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই, অনেকের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, এলভিসের এই জনপ্রিয়তাকে কাজ লাগাতে চাইছে বিজেপি। ‘বিগ বস্ ওটিটি’-র খেতাব জিতে অনুরাগীদের জন্য একটি ‘মিটআপ’-এর ব্যবস্থা করেছিলেন এই ইউটিউবার। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তা হলে কি রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে থেকে বেরিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন এলভিস?
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর শুধু যে এলভিসের ডাকা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন, তেমনটা নয়। হরিয়ানার তরুণ এই ইউটিউবারকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান, ফুলের তোড়া দিয়ে সংম্বর্ধনাও দেন। তবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে এলভিস তাঁর ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন,‘‘ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুভূতি একেবারে আলাদা। আমার কাজের উনি প্রশংসা করেছেন। রাজনীততে যোগদানের ব্যাপারে এখনও কিছু ভাবিনি। উনি আমায় আশীর্বাদ করেছেন।” তবে তাতে এলভিসের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা মোটেও দমানো যাচ্ছে না। কারণ, এর আগেও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে এলভিসকে। বরাবরই রাজনীতির জগতের লোকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতেই দেখা গিয়েছে জনপ্রিয় এই ইউটিউবারকে।