শ্রীসন্থ
প্র: ক্রিকেটার হিসেবে আপনার কেরিয়ারে অনেক বিতর্ক। ‘বিগ বস’-এর ঘরে কি সেটা দূর হবে?
উ: ইমেজ বদলানোর জন্য ‘বিগ বস’-এর ঘরে যাচ্ছি না। আমাকে নিয়ে যা বিতর্ক হয়েছিল তা বেশির ভাগ মিথ্যে। কতটা সত্যি বা মিথ্যে সেটা যাচিয়ে দেখেছে কেউ? আমি চাই ‘বিগ বস’-এর ঘরের ভিতর আসল শ্রীসন্থকে সবাই দেখুক।
প্র: ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিতর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন?
উ: অতীত নয়। বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলব। ২০১১ সালে শেষ ক্রিকেট খেলেছিলাম। এই মুহূর্তে আমি শুধুই এক জন এন্টারটেনার। হিন্দি ছবিতে কাজ করেছি। দক্ষিণেও করেছি। ডিসেম্বরে আমার একটা ছবি আসবে। ‘বিগ বস’-এর ঘরে গিয়ে ঠিক করেছি, সকলের থেকে আরও ভাল করে হিন্দি শিখে নেব। ছবি করতে আমার সুবিধে হবে।
প্র: আপনাকে সকলে খুব রাগী ভাবেন। কী কী নিয়ে রাগ হয়?
উ: ক্রিকেটের মাঠে আমি একদম অন্য মানুষ হয়ে যেতাম— এই কথাটা আমাকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্লেয়ার অ্যালান ডোনাল্ড বলেছিলেন। মা আর স্ত্রী অবশ্য ভাল উত্তর দিতে পারবে। ক্রিকেটের ব্যাপারে আমার প্যাশনটা একটু বেশিই ছিল। দেশের জার্সি পরে মাঠে নেমে ভীষণ চার্জড থাকতাম। আর প্রতিপক্ষ যদি পাকিস্তান আর অস্ট্রেলিয়া হতো, তা হলে তো কথাই ছিল না!
প্র: ক্রিকেট আর কোনও দিন খেলবেন?
উ: আমার কাছে আর দু’বছর সময় আছে। যদি খেলতে পারি, শেষ চেষ্টা করব। এখন বিনোদনে থাকাটাই আমার লক্ষ্য। ক্রিকেট মাঠও এখন বিনোদনের জায়গা হয়ে গিয়েছে।
প্র: ‘বিগ বস’-এর ঘরে অনেক সময়ে খাবার পাওয়া যায় না!
উ: আমি এমনও দিন কাটিয়েছি, যখন সারা দিন শুধু বিস্কুট খেয়ে ক্রিকেট প্র্যাক্টিস করতে হয়েছে। লাঞ্চে হয়তো পানিপুরি খেয়েছি। কারণ পুরো মিল কেনার সামর্থ্য ছিল না। জীবনে যেখানে এসে পৌঁছেছি, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। একটা ছোট্ট ঘরে ছ’জন থাকতাম। এখন অনেক বড় ঘরে থাকি। মা-বাবার কাছে কখনও টাকা চাইনি। ‘বিগ বস’-এর ঘরের ভিতর যা দেবে মাথা পেতে নেব, যা পাব না তার জন্য ঝগড়া করব না।
প্র: সলমন খান কী পরামর্শ দিলেন?
উ: আমরা দু’-তিন বার দেখা করেছি আগে। ২০১১ সালে যখন ভারত ওয়র্ল্ড কাপ জিতেছিল, তখন এক বার। যখন কেরল লিগের হয়ে খেলছিলাম, তখন আবার। সলমন ইজ় আ রিয়্যাল পার্সন। ভাবছি, আমার কেরিয়ার নিয়ে ওঁর কাছ থেকেই সব পরামর্শ নেব।