শোভনসুন্দর, তনুশ্রী এবং বিক্রম
এই প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারত বিধাতা’ কবিতায় যুক্ত হল আবহ। দায়িত্বে ছিলেন পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ। জনপ্রিয় বাচিক শিল্পী, আবৃত্তিকার শোভনসুন্দর বসুর ভাবনায় দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে এ ভাবেই স্বাধীন হল রবীন্দ্র রচনা। আবহের পাশাপাশি বিক্রম কণ্ঠও দিয়েছেন কবিতার বিভিন্ন অংশে। একই সঙ্গে এই প্রথম তিনি বাংলা কবিতায় আবহ তৈরির দায়িত্ব পালন করলেন। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট তালবাদ্যকার জানিয়েছেন, বাংলা কবিতায় কাজ করার ইচ্ছে তাঁর অনেক দিন ধরেই ছিল। স্কুল জীবনে বা বিদেশে থাকাকালীন শেক্সপিয়রের কবিতায় তিনি আবহের কাজ করেছেন। কিন্তু বাংলায় তিনি এই প্রথম এই কাজ করলেন।
বিক্রমের দাবি, আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন বিদেশি যন্ত্র-সঙ্গীতের সহায়তায় কবিতার সঙ্গে আবহের মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। এই কবিতার সঙ্গে নাচের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন বিখ্যাত নৃ্ত্যশিল্পী তনুশ্রীশঙ্কর। নাচের পাশাপাশি তাঁর কণ্ঠও শোনা যাবে এই কবিতায়। প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১১ সালে এই কবিতা লেখেন। ১৯১২ সালের জানুয়ারি মাসে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় কবিতাটি ছাপা হয় ‘ভারত বিধাতা’ শিরোনামে। এই গানের সুরকার দীনু ঠাকুর। এই বছরের ২৭ ডিসেম্বর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬ তম জাতীয় অধিবেশনে এটি গান হিসেবে গাওয়া হয়।
১৯৫০ সালে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে এই কবিতার প্রথম স্তবকটি স্বীকৃ্তি পায়। যার পৃষ্ঠপোষক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৩ সালে নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের ঘোষণা করেন। এবং সেই বছরেই নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য সচিব আনন্দমোহন সহায়কে এই গান বা কবিতার হিন্দি অনুবাদের দায়িত্ব দেন। এর পরেই এটি আজাদ হিন্দ ফৌজের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গানটি গাওয়া হত।
শোভনসুন্দর জানিয়েছেন, ‘‘পরবর্তীতে আমরা কবিতার হিন্দি ও ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশ করব। তখনও আবহের দায়িত্বে থাকবেন পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ।’’