ব্যহত ‘নয়নতারা’-র শ্যুট।
নির্দিষ্ট সময়ে প্রাপ্য পাননি, এই অভিযোগে ধারাবাহিক ‘নয়নতারা’-র শ্যুট বন্ধ করে দিলেন কলাকুশলীরা। ধারাবাহিকের প্রযোজক কনক ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, তিনি সবাইকে জানিয়েছিলেন, সোমবারে সবার সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দেবেন তিনি। তার পরেও এ দিন মধ্যাহ্ন ভোজনের পর থেকে ধারাবাহিকের শ্যুট বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় তিনি দূরভিসন্ধির গন্ধ পাচ্ছেন। প্রযোজকের বক্তব্য, তাঁর হাতে এখন পর পর কাজ। সেই কারণেই তাঁকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ফেডারেশনের সম্পাদক অপর্ণা ঘটকের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, এখনও কোনও খবর তাঁরা পাননি। ফেডারেশনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হলে সংগঠন অবশ্যই বিষয়টি দেখবে।
প্রকৃত ঘটনা কী? ‘নয়নতারা’ ধারাবাহিকের প্রযোজনা সংস্থা ক্রিস্টাল ড্রিমসের কর্ণধারের দাবি, ‘‘স্বাধীনতা দিবসের ছুটি, সার্ভার ডাউনের কারণে ব্যাঙ্কের লেনদেনে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই মতো শুক্রবারের বকেয়া পাওনা সবাই পাবেন সোমবার। ব্যাঙ্কের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার পর সে কথা জানাই সবাইকে। সবাই প্রাথমিক ভাবে মেনেও নেন। এ দিকে সার্ভারের কারণে সোমবার দুপুরেও টাকা না ঢোকায় আচমকাই কাজ বন্ধ করে দেন তিন কলাকুশলী উত্তম, সৌরভ, লাল বাহাদুর।’’ কনকের দাবি, শিল্পী বা বাকি কলাকুশলীরা তাঁর পাশে আছেন। কিন্তু ওই তিন জনের যুক্তি, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাই তাঁরা আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। অথচ প্রযোজক জানেন, সোমবার রাতের মধ্যে সব টাকা সবার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। প্রসঙ্গত, গৌরব মণ্ডল ছাড়া এই ধারাবাহিকের বেশির ভাগ অভিনেতা নতুন মুখ। পরিচালনায় শ্রীমন্ত মুখোপাধ্যায়।
প্রযোজকের আরও আক্ষেপ, তিনি এর আগে একাধিক ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর আগেও এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তখন সবাই তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। শ্যুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা এই প্রথম ঘটল। কনকের মতে, বকেয়া না মেটানোর কারণে প্রথম সারির কোনও সংবাদমাধ্যমে তাঁর নাম উঠবে ভাবতেও লজ্জা হচ্ছে তাঁর। পাশাপাশি মউ স্বাক্ষরের পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ বন্ধ না করার নির্দেশ দেওয়ার পরেও কিছু হলেই শ্যুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টেলিপাড়ায়। এই বিষয়টি নিয়েও তাঁর প্রবল আপত্তি।
সুরাহা খুঁজতে কনক কি ফেডারেশনের দ্বারস্থ হবেন? কনকের মতে, শুধু ফেডারেশন নয়, দরকারে প্রোডিউসার্স গিল্ড এবং আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।