সুরজ বরজাতিয়া ১৯৯৯ সালে রামায়ণ অবলম্বনে বানিয়েছিলেন ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’। ছবি- সংগৃহীত।
ভাইবোনের সম্পর্কের রসায়ন অনন্যসাধারণ। প্রতি বছর ভাইফোঁটার দিন এই সম্পর্ক আরও এক বার উদ্যাপন করেন ভাইবোনেরা। বাঙালিদের ভাইফোঁটা আর অবাঙালিদের ভাইদুজ-এর উপলক্ষ একই। খাওয়াদাওয়া, জমজমাট আড্ডা, উপহার দেওয়া নেওয়ার পাশাপাশি একসঙ্গে সময় কাটানোর উপায় হতে পারে সিনেমা। বলিউডে ভাইবোনের চিরকালীন সম্পর্ক নিয়ে রয়েছে একাধিক ছবি। তা হলে কী কী বলিউড ছবি দেখা যায় এ বারের ভাইফোঁটায়? রইল তালিকা।
কভি খুশি কভি গম
২০০১ সালে কর্ণ জোহর উপহার দিয়েছিলেন এই পারিবারিক ছবি। পর্দায় বড় দাদা শাহরুখ খানকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে শেষ দেখে ছেড়েছিলেন হৃতিক রোশন। দূরত্ব কিংবা বয়সের ব্যবধান যে দুই ভাইয়ের সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে পারে না, তার আদর্শ উদাহরণ ‘কভি খুশি কভি গম’।
দূরত্ব কিংবা বয়সের ব্যবধান যে দুই ভাইয়ের সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে পারে না, তার আদর্শ উদাহরণ ‘কভি খুশি কভি গম’। ছবি: সংগৃহীত।
হম সাথ সাথ হ্যায়
ভাইবোনের সম্পর্ক নিয়ে সিনেমার কথা হলে শুরুতেই মনে পড়বে সুরজ বরজাতিয়ার কাজ। ১৯৯৯ সালে রামায়ণ অবলম্বনে তিনি বানিয়েছিলেন ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’। যেখানে বড় ভাই মণীশ বহেলকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর অনুপস্থিতিতে সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়। পর্দায় মেজো ভাই সলমন খান সেই সম্পত্তির মালিক হতে চান না। ফিরিয়ে আনেন দাদাকে। পাশে থাকেন বোন নীলম কোঠারি আর ছোট ভাই সইফ আলি খান।
দিল ধড়কনে দো
মনে পড়তে পারে ২০১৫ সালে জোয়া আখতারের ছবি ‘দিল ধড়কনে দো’-র কথা। নৌকাবিহারে ১০ দিন ধরে বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকী পালনের গল্পে উচ্চবিত্ত পরিবারের নানা জটিলতা প্রতিফলিত হয়েছিল। কন্যা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ব্যবসা সামলাতে বেশি দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের ইচ্ছা ছিল পুত্রসন্তান রণবীর সিংহের হাতেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া। ভাইবোনের বোঝাপড়াই পরিস্থিতি বাঁচিয়েছিল।
ইকবাল
২০০৫ সালে নাগেশ কুকুনুরের ছবি ‘ইকবাল’ রীতিমতো উন্মাদনা ছড়িয়েছিল। পর্দায় মূখ্য ভূমিকায় শ্রেয়স তলপাড়ে কথা বলতে পারেন না, কানেও শোনেন না। বোন শ্বেতা প্রসাদ তাঁকে উৎসাহ দিয়ে স্বপ্নকে ধাওয়া করতে শেখান। ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলে স্থান করে নেন মূক-বধির শ্রেয়স।
রক্ষা বন্ধন ছবিতে অক্ষয় ছবি: সংগৃহীত।
রক্ষা বন্ধন
আনন্দ এল রাই পরিচালিত সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘রক্ষা বন্ধন’ ভাইবোনের সম্প্রীতির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ছবিতে একমাত্র ভাই অক্ষয় কুমার। তাঁর চার বিবাহযোগ্যা বোনের বিয়ে দেওয়ায় নানা প্রতিকূলতা নিয়েই গল্প। বড় দাদা পণ করেছেন বোনেদের বিয়ে না দিয়ে নিজে বিয়ে করবেন না। সেই স্বার্থত্যাগের ইতিবৃত্ত আরও এক বার কাছাকাছি আনতে পারে এ যুগের ভাইবোনদের।