পূরব কোহালি
ভাইরাস শব্দটি জড়িয়ে গিয়েছে পূরব কোহালির জীবনে। তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত স্পাই-থ্রিলার ‘লন্ডন কনফিডেনশিয়াল’-এর প্রেক্ষাপট এক মারণভাইরাস। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে লন্ডনে থাকেন পূরব। মাসকয়েক আগেই সপরিবার লড়াই করেছেন করোনাভাইরাসের সঙ্গে। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘প্রথম দিকে বেশ ভয় পেয়েছিলাম। নানা রকম হোম রেমেডি ট্রাই করতাম। চিন্তাটা বেশি ছিল, কারণ বাড়িতে দুই খুদে সদস্য রয়েছে। কোভিডের সঙ্গে মোকাবিলা করার সেরা রাস্তা হল, প্যানিক না করা। সেরে ওঠার পরে আর হবে না ভেবে নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম। এখন তো শুনছি, তেমনটা নয়। লন্ডনে পোস্ট-লকডাউন শুটিং হওয়া প্রথম ওটিটি ফিল্ম ছিল এই ‘লন্ডন কনফিডেনশিয়াল’। অচেনা পরিবেশে মাস্ক পরে কাজ করার অভিজ্ঞতাই আলাদা। লন্ডনের এই চেহারা আগে দেখিনি!’’
ছবিতে দুই র এজেন্টের চরিত্রে রয়েছেন পূরব এবং মৌনী রায়। ‘‘আমাকে তো কেউ অ্যাকশন অফার করে না তেমন। তাই এই স্পাই থ্রিলারের প্রস্তাব পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম। লকডাউনের সময়ে মার্শাল আর্টস শিখেছিলাম, সেটা কাজে লাগিয়েছি। এস হুসেন জ়াইদির লেখা বলেও আলাদা উত্তেজনা ছিল।’’ অতিমারি এবং সাম্প্রতিক ভারত-চিন সম্পর্ক কি এই ছবিকে আলাদা মাইলেজ দিল? সহমত পূরব। তিনি যখন ওটিটি-তে কাজ করা শুরু করেছিলেন, তখনও এ দেশে নেটফ্লিক্স আসেনি। এখন দেশজ কনটেন্ট ছাড়াও আন্তর্জাতিক প্রজেক্টেও চুটিয়ে কাজ করেন পূরব। এ ছবিতে প্রথম বার অ্যাকশন করলেন। মৌনীর সঙ্গেও এটি তাঁর প্রথম অভিনয়। ‘ঝলক দিখলা জা’র সেটে প্রথম আলাপ দু’জনের, ছ’বছর আগে। এখন তাঁরা বন্ধু। অক্টোবরে দেশে আসার কথা পূরবের, ‘আউট অব লাভ’-এ দ্বিতীয় সিজনের শুটে। এখন তিনি মুম্বই আসেন শুধু কাজের সূত্রেই। ‘টাইপরাইটার’-এর পরে সুজয় ঘোষের সঙ্গে আরও একটি প্রজেক্ট নিয়ে কথাবার্তা চলছে তাঁর। লন্ডনে বেস শিফট করায় মুম্বইয়ে কাজ করতে অসুবিধে হয় না? ‘‘অসুবিধে নয়, খরচ হয় প্রচুর,’’ হেসে বললেন অভিনেতা।