‘ইচ্ছে পুতুল’ ধারাবাহিকের অভিনেতা শমীক চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
স্টার জলসার অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’। এই সিরিয়ালের দুই চরিত্র নীল এবং মেঘের সম্পর্কের ওঠাপড়া নিয়েই গল্প এগিয়েছে। সিরিয়ালে দু’জনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আর সেই বিচ্ছেদ পর্বে মেঘের জীবনে ‘এন্ট্রি’ নিয়েছে ‘জিষ্ণু’ নামক এক চরিত্র। মেঘের দিক থেকে যদিও জিষ্ণুর প্রতি কোনও অনুভূতি নেই। তবে জিষ্ণু কিন্তু মনে মনে মেঘের প্রতি অনুরক্ত।
‘ইচ্ছে পুতুল’ ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক প্রতিটি ঘটনার সঙ্গেই পরিচিত। কিন্তু ধারাবাহিকে জিষ্ণুর চরিত্রে অভিনয় করছেন শমীক চক্রবর্তী। টেলিভিশনের নতুন মুখ। ‘ইচ্ছে পুতুল’ ছাড়াও এই মুহূর্তে ‘সন্ধ্যাতারা’ সিরিয়ালে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করছেন শমীক। তবে এই পর্যন্ত আসা একেবারেই সহজ ছিল না। অনেক লড়াই করে খানিকটা হলেও সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি। সম্প্রতি মা সোনালি চক্রবর্তীকে সঙ্গে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ এসেছিলেন শমীক। ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা পাকা করার জন্য তাঁর লড়াই নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন অভিনেতা।
শমীক কৃষ্ণনগরের ছেলে। বাবার অমতেই এক দিন বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় পা রেখেছিলেন শমীক। এ শহরে এসে কোনও মতে একটা মাথা গোঁজার ঠাই জোগাড় করেছিলেন। ছোট্ট একটা ঘর ভাড়া নেন। শমীক জানিয়েছেন, সেই ঘরের জায়গা নাকি এতটাই ছোট ছিল, এক জনের থাকতেই কষ্ট হত। বাড়ির সমস্ত কাজ একা হাতে করতে হত তাঁকে। সে দিনের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন শমীক। ধরা গলায় তিনি বলেন, ‘‘একা হাতে রান্না করতাম। ঘর গুছিয়ে রাখতাম। বাথরুম পরিষ্কার করতাম। বাড়ির সব কাজ সেরে তার পর বেরোতাম।’’ তবে খুব বেশি দিন অবশ্য লড়াই চালিয়ে যেতে হয়নি শমীককে। কিছু দিন পর থেকেই মডেলিং শুরু করেন। তার পরেই সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান।