শ্রুতি দাস। —ফাইল চিত্র।
পরনে সাধারণ টি শার্ট, সঙ্গে একটি চেক ট্রাউজ়ার। চোখে চশমা দিয়ে মনের সুখে সাদা কাগজে তিনি লিখে চলেছেন। কোনও দিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। খাটের উপর রাখা এক বাটি চানাচুর আর মুড়ি। লিখছেন আর মাঝেমাঝে মুড়ি খাচ্ছেন। তিনি টলিপাড়ার অন্যতম সফল পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। সাধারণত চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের এই ভাবে দেখা যায় না। অনেকেরই ধারণা অভিনেতা বা পরিচালক মানেই তাঁদের চলন, যাপন সব কিছুই অন্য রকমের। তবে সবাই যে একই স্রোতে ভাসবেন তেমনটা নয়। স্বর্ণেন্দুর এমনই একটি ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। এই মুহূর্তে স্বর্ণেন্দু পরিচালিত সিরিয়াল ‘রাঙা বউ’-এ অভিনয় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। শুধু পেশাদার সম্পর্ক নয়, স্বর্ণেন্দু এবং শ্রুতি এখন দম্পতিও বটে। ফলে পরিচালকের প্রতিটি মুহূর্তই তাঁর জানা। এত দিন তাঁর সঙ্গে মিশে নায়িকা উপলব্ধি করেছেন যদি কেউ আসল মানুষ হন, তাঁর ভিতরে প্রতিভা থাকে, তা হলে তাঁকে অন্যদের দেখানোর জন্য কিছু করার প্রয়োজন হয় না।
শ্রুতি লেখেন, “উনি নয় নয় করে প্রায় ২০টি সিরিয়াল পরিচালনা করে ফেলেছেন। এক কথায় সফল পরিচালক। কিন্তু প্রতি দিন মুড়ি খেতে খেতে উনি যে ভাবে শট ভাগ করতে বসেন, তা সত্যিই অবাক করে আমায়। আমার ব্যক্তিগত ভাবে সব সময় মনে হয় সমাজমাধ্যমের পাতায় যাঁরা সব সময় নিজেদের বিলাসবহুল জীবন যাপনের ছবি পোস্ট করেন সেটা নিছকই দেখানো। আদৌ তাঁদের মধ্যে প্রতিভা আছে কি না তা এই জীবনযাত্রার নিরিখে বিচার করা যায় না।’’ এরই সঙ্গে শ্রুতি লিখেছেন, ‘‘সাধারণ ভাবে বাঁচার এক অন্য রকম কদর আছে। এই জন্যই মা-বাবা এবং স্বামী আমার জীবনের অনুপ্রেরণা। তাই জন্য আমি নিজের শিকড় আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করি।”
এই ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে শ্রুতিও কাটিয়ে ফেলেছেন প্রায় পাঁচ বছর। অনেক ওঠা-পড়াও দেখেছেন। তাঁর অভিনীত ‘রাঙা বউ’ সিরিয়াল টিআরপি তালিকায় অনেকটাই উপরে রয়েছে। এর নেপথ্যে শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর ব্যক্তিগত সমীকরণও অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন অনুরাগীরা। তবে সে কথা মানতে নারাজ শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু। তাঁদের বক্তব্য, কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই এই সিরিয়াল দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে।