এই বৈশাখ মৃত্যুপুরীর ছবি দেখাচ্ছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। আঙুল দিয়ে প্রকৃতিকে দেখাচ্ছে ,দেখাচ্ছে পরিবারকে। এ বৈশাখ আগের মতো অনেক নেমন্তন্ন একটু একটু করে ছুঁয়ে যাওয়ার নয়। বারোয়ারি নয়, এ ঘরের পয়লা বৈশাখ। এই বৈশাখ মানবিকতার বৈশাখ... এমনটাই মন করছেন অভিনেত্রী। পুরনো ক্লেশ, ক্লান্তি, অস্থির সময়কে দূরে সরিয়ে রেখে এক নতুন সকালের স্বপ্নে মশগুল ঋতুপর্ণা।
কিছুটা নস্টালজিক তিনি। “ছোটবেলায় কারও না কারও বাড়িতে নেমন্তন্ন থাকত আমাদের। খুব ভোর ভোর মা উঠিয়ে দিতেন। প্রথমে ঠাকুমাকে প্রণাম, তার পর মা-বাবা, তার পর ঠাকুরকে প্রণামের রীতি ছিল। তবেই দিন শুরু হত। ঠাকুমাকে দেখতাম দাদুর ছবিতে মালা দিত, ফল-মিষ্টি রাখত। চিরকাল সুতির জামা পরতাম। খুব দামি কিছু পরতাম না। বাঙালি মতে খাওয়া হত। অনেক মিষ্টি খেতাম। আর কোনও নেমন্তন্নে গেলে ঠান্ডা কোল্ডড্রিঙ্কস স্ট্র দিয়ে খাওয়ার যা মজা পয়লা বৈশাখে পেয়েছি সে ভোলার নয়!” আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলছিলেন তিনি।”
এখন তিনি সিঙ্গাপুরের বাড়িতে রয়েছেন। সেখান থেকেই রবীন্দ্রনৃত্যের মধ্য দিয়ে বরণ করে নিলেন নতুন বছর কে। বলে উঠলেন, “মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা...এসো হে বৈশাখ... এসো এসো...”।