সুদীপ্তা চক্রবর্তীর জন্মদিনে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা। ছবি: ফেসবুক।
নিজের জন্মদিন লুকিয়ে রাখতেই ভালবাসেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। জন্মদিন অমিল সমাজমাধ্যমে। উইকিপিডিয়ায় যদিও বা সালের হদিস মেলে, তারিখের কোনও উল্লেখ নেই! তবু বাংলা বিনোদন দুনিয়া জানে, শনিবার, ২৩ নভেম্বর মঞ্চের ‘বিনোদিনী’র জন্মদিন। তাঁর সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ‘অভিনেত্রী’ হিসাবে তো বটেই ‘মানুষ’ সুদীপ্তাকেও কাছ থেকে চেনেন তিনি।
প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ বললেন, “খুবই ভাল একটি মেয়ে, আমার ভীষণ প্রিয়। খুব ভাল অভিনেত্রী। মানুষ হিসাবেও দুর্দান্ত।” এত গুণের কারণেই তাঁর সঙ্গে রূপার আন্তরিক সম্পর্ক। সেই সুবাদে সুদীপ্তা নতুন কিছু করলে আমন্ত্রণ জানান রূপাকে। এ কথা জানিয়েই স্মৃতিপথে হাঁটলেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ। সম্প্রতি, ‘বিনোদিনী অপেরা’ দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সুদীপ্তার অভিনয় দেখে অভিভূত রূপা।
অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “চিরকালই ও খুব ভাল অভিনয় করে। আমরা একসঙ্গে অনেকগুলো ছবিতে কাজ করেছি— ‘বাড়িওয়ালি’, ‘নোবেল চোর’ আরও। এর মধ্যে ‘বাড়িওয়ালি’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই ছবি ওকে জাতীয় সম্মান এনে দিয়েছে।” সু-অভিনেত্রীর পাশাপাশি সুদীপ্তার আরও একটি তকমা রয়েছে। অভিনেত্রী প্রচণ্ড প্রতিবাদী। সমাজ থেকে সিনেমা— অন্যায় দেখলেই গর্জে ওঠেন। অভিনেত্রীর এই সত্তা কেমন লাগে রূপার?
“ও চিরকাল এই রকমই। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই বলে, ও নাকি আমার মতো খানিকটা। মানে, যুদ্ধং দেহি ধাঁচের। খুবই প্রতিবাদী এবং স্ট্রেট ফরোয়ার্ড মানসিকতার। এটাই ওর সৌন্দর্য”, মৃদু হেসে ‘বার্থ ডে গার্ল’কে প্রশংসায় ভরালেন রূপা। যাঁরা নারীর মধ্যে এই সত্তাকে খোঁজেন তাঁদের কাছে সুদীপ্তার প্রতিবাদী সত্তা ইতিবাচক। কিন্তু বাকিদের কাছে তো এই সত্তাটাই শত্রু বানিয়ে দেয়! “তাতে কিছু আসে যায় না”, স্পষ্ট মত রূপার। উল্টে শংসাপত্র দিলেন, “কে শত্রু বানাবে সুদীপ্তাকে? ওর কোনও শত্রু নেই।”