Sreeleka Mitra on Ambani wedding

অম্বানীদের বিয়েতে টলিপাড়া, ‘ভাড়া করা সাজগোজে বোঝাচ্ছে তারা ভিভিআইপি’, মন্তব্য শ্রীলেখার

অনন্ত-রাধিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে টলিপাড়া থেকে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৯:৫৯
Share:

শ্রীলেখা মিত্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বেরা ভিড় জমিয়েছিলেন। সেখানে টলিপাড়া থেকেও হাজির হয়েছিলেন একাধিক তারকা। এক দিকে অম্বানীদের বিয়েতে টলিপাড়ার বাসিন্দাদের উপস্থিতি দেখে সমাজমাধ্যমে উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গিয়েছে। অন্য দিকে কেউ কেউ তাঁদের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি। বিষয়টি নিয়ে এ বার মনের কথা জানালেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

Advertisement

অনন্ত অম্বানী ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠানে টলিপাড়া থেকে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। দেখা গিয়েছে যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহান, রুক্মিণী মৈত্র, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি পোস্ট করেন শ্রীলেখা। ফেসবুকের ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘নোংরা এগজ়িবিশনিজ়ম (প্রদর্শনকামিতা) চলছে, মানুষ সেগুলো গিলছে। এখানকার তারকারা ভাড়া করা জামা আর গয়না পরে গিয়ে ছবি তুলে বোঝাচ্ছে, তারা ভিভিআইপি।’’ শ্রীলেখার মতে, সাধারণ মানুষ চোখ বন্ধ করে এই ধরনের প্রদর্শন উপভোগ করছেন।

এরই সঙ্গে শ্রীলেখা আরও লেখেন, ‘‘ব্যক্তিগত এবং মর্যাদা বলে আর কিছু রইল না।’’ এই ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠান সাধারণত বড় কোনও সংস্থার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। আগত অতিথিদের মধ্যেও সুরক্ষার কারণে নানা শ্রেণিবিভাগ থাকে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শ্রীলেখা লেখেন, ‘‘সবার হাতে বিভিন্ন রঙের ব্রেসলেট লক্ষ করবেন। তাতে নির্ধারিত, আপনি কতটা পর্যন্ত যেতে পারবেন আর তার পর যেতে দেবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে শ্রীলেখা বললেন, ‘‘আমাদের এখানেও তো টাকা দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারকাদের নিয়ে যাওয়া হয়। আমি আজ পর্যন্ত যাইনি। কাউকে চিনি না। উপহারটাও স্পনসর্ড! আমি শুধু গিয়ে ছবি তুলব। এটা পারব না।’’ কথা প্রসঙ্গেই নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন শ্রীলেখা। বললেন, ‘‘আমি তো যাঁদের সঙ্গে কাজ করি, তাঁদের আমন্ত্রণ করেছিলাম।’’ শ্রীলেখার মতে, ভারতের মতো দেশে ধনী হওয়াটা কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘যে দেশে মানুষ দু’বেলা পেট পুরে খাবার পাবে কি না জানে না, সেখানে এই জাহির করাটা অপরাধ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement