সন্দীপ্তা সেন। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের। এ বছর টলিপাড়ায় একাধিক নতুন দম্পতি রয়েছেন। সন্দীপ্তাও তাঁদের মধ্যে অন্যতম। প্রথম জামাইষষ্ঠীই হল সন্দীপ্তার মেয়েষষ্ঠী। গতে বাঁধা ষষ্ঠী মেনে জামাইয়ের জন্য নানা পদ, উপহার, আশীর্বাদ— সন্দীপ্তার মা-বাবা সবটাই করেছেন। অন্য দিকে মেয়েকেও ভোলেননি। একেবারে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে বসেন সন্দীপ্তার মা। যদিও প্রতি বার উঠে এসেছে সন্দীপ্তার স্বামী সৌম্য মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ।
জামাইষষ্ঠীর কথা উঠলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সন্দীপ্তা। শৈশবের স্মৃতি, বিশেষত দিদার স্মৃতি যেন বেশি করে ভেসে আসে মনে। সন্দীপ্তা বলেন,‘‘আমার মা একমাত্র মেয়ে ছিল, সেই দিক থেকে বাবা একমাত্র জামাই। প্রতি বছর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকতাম। এ দিন নতুন জামা পরব আর দিদার হাতের ভালমন্দ সব রান্না খাব। তাই এই প্রসঙ্গ উঠলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি।’’
মায়ের হাতে জামাইষষ্ঠীর ভোজ খেতে ব্যস্ত সন্দীপ্তা। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দীপ্তার স্বামী সৌম্য একটি নামী প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। ক্যামেরার সামনে আসতে স্বচ্ছন্দ নন। আড়ালেই থাকেন। তবে জামাইটি যে খুব ভাল হয়েছেন, সেই সন্তুষ্টি বার বার উঠে এসেছে অভিনেত্রীর মা-বাবার কণ্ঠে। সন্দীপ্তার বাবা বলেন,‘‘ জামাই আসলে খুব ভাল হয়েছে। বাড়ি ঢুকেই জিজ্ঞেস করে ভাল আছি কি না। বেরোনোর সময় ‘সাবধানে থেকো’ বলে, তার পর যায়।’’ যদিও জামাইয়ের সঙ্গে নাকি শাশুড়ির অনেক মিল। সন্দীপ্তা নিজেই জানান, তাঁর মায়ের পছন্দ-অপছন্দ সৌম্যের সঙ্গে মেলে। সন্দীপ্তার মা মেয়েকে থামিয়ে দিয়েই বলেন,‘‘ আমার জন্য ষষ্ঠীতে সৌম্য পছন্দ করে শাড়ি নিয়ে এসেছে। ওঁর পছন্দ আমার বেশ মনোমতো হয়।’’
তবে নতুন সংসার এখনও সবটা গুছিয়ে উঠতে পারেননি সৌম্য-সন্দীপ্তা। দুই বাড়িতেই আসা-যাওয়া চলছে। তবে দু’জনের স্বভাবগত মিলের সঙ্গে অমিল গুলোই যেন তাঁদের আরও বেঁধে রেখেছে ভাতের সঙ্গে ভাজা দিয়ে খেতে খেতেই বললেন সন্দীপ্তা। স্বাস্থ্যসচেতন সন্দীপ্তা, তাই খুব যে কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছেন তেমনটা নয়। সন্দীপ্তা খুশি, এমন একটা দিনে মেয়েষষ্ঠীর মতো উদ্যোগে অন্যেরাও বাড়তি অনুপ্রেরণা পাবেন।