‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ ছবির একটি দৃশ্যে রুক্মিণী মৈত্র। ছবি: সংগৃহীত।
সকাল থেকে একের পর এক প্রশংসাবার্তায় তাঁর মোবাইল ফোন ভরে উঠেছে। তাই কিছুটা হলেও উদ্বেগ কাটিয়ে উঠেছেন রুক্মিণী মৈত্র। দু’বছরের প্রতীক্ষার অবসান। কালীপুজোর দিন প্রকাশ্যে এসেছে ‘বিনোদিনী: এক নটীর উপাখ্যান’ ছবির প্রচার ঝলক। রুক্মিণী জানালেন তাঁর মনের কথা।
২০২২ সালে এই ছবির ঘোষণা করেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। তার পর থেকে ছবি ঘিরে দর্শকের কৌতূহল ক্রমশ বেড়েছে। শুটিং শুরু হয় গত বছর। রুক্মিণী জানালেন, শুরু থেকেই এই চরিত্র নিয়ে মনের মধ্যে তাঁর ভয় কাজ করেছিল। ছবির ঝলক প্রকাশ্যে আসার পর সেই ভয় কি একটু কেটেছে? অভিনেত্রী বললেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে দেখা হলেই তাঁরা জানতে চাইতেন ‘বিনোদিনী’ কবে আসছে। সকলে অপেক্ষা করে ছিলাম। ঈশ্বরের আশীর্বাদে এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই পাচ্ছি। বাংলায়ও যে এত ভাল কাজ হতে পারে, সে কথাও উল্লেখ করছেন অনেকে।’’
চলতি বছরে ‘বুমেরাং’ ও ‘টেক্কা’ ছবিতে রুক্মিণীর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই অভিনেত্রী জানালেন বিনোদিনী তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং চরিত্র হয়ে থাকবে। চরিত্রের জন্য রুক্মিণীকে আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়ে হয়। এ ছবির জন্য কর্মশালায় যোগ দিয়েছেন। অভিনেত্রীর কেরিয়ারে এই প্রথম কোনো জীবনীচিত্রে অভিনয়। রুক্মিণীর কথায়, ‘‘আমি তাই কোনও খুঁত রাখতে চাইনি। হাঁটাচলা, কথা বলার ধরনে ওই সময়ের একটা ভঙ্গি আনার চেষ্টা করেছি। নটী বিনোদিনীর অভিনয়, বিভিন্ন বয়স, প্রতিটা ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছি।’’
ছবির ঝলকে বিনোদিনী বলছেন, তিনি ভিড় দেখে ভয় পান না। কিন্তু আগামিকালের কথা ভেবে তাঁর ভয় হয়। কারণ আর যদি ভিড় না হয়! রুক্মিণীর মনের মধ্যেও কি কখনও এই ভয় দানা বাঁধে? বললেন, ‘‘সময়কাল হয়তো বদলেছে। কিন্তু অভিনেতার মনের ভয়টা একই রয়ে গিয়েছে। কারণ দর্শকই শেষ কথা বলেন।’’ রুক্মিণী বিশ্বাস করেন, প্রতি শুক্রবারে এক জন অভিনেতার ভাগ্য বদলে যায়। খারাপ-ভালর মিশ্রণেই এক জন অভিনেতাকে আগামীর সফরের পরিকল্পনা করতে হয় এবং সেখানে দর্শক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রুক্মিণীর কথায়, ‘‘তাঁরা যদি পারফরম্যান্স না দেখতে আসেন, তা হলে তো সব শেষ। ভিড়টা যেন চিরকাল থাকে।’’
এই ছবিতে রুক্মিণী ছাড়াও রয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল বোস, ওম সাহনি প্রমুখ। ছবিটি আগামী জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাবে।