ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
নিজের সংস্থার অধীনে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেন। সেই সংস্থার অধীনে ছবি প্রযোজনাও করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এ বার তাঁর টিমের সদস্যের নতুন উদ্যোগের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী।
দীর্ঘ দিন ঋতুপর্ণার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। রবিবার তিনি নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থার (এন্ডেভার ফিল্মস) ঘোষণা করলেন, যাঁর নেপথ্যে রয়েছেন স্বয়ং ঋতুপর্ণা। মূলত তাঁরই পরামর্শে শর্মিষ্ঠার এই নতুন সফর শুরু হচ্ছে। টলিপাড়ায় বড় প্রযোজনা সংস্থার ‘দাদাগিরি’ নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। এমনকি বিভিন্ন সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক ছোট প্রযোজনা সংস্থা বা নির্মাতাদের কাজ নেই বলেও অভিযোগ ওঠে। সেখানে ঋতুপর্ণা অন্য নারীকে প্রযোজনা সংস্থা তৈরিতে কী ভাবে উদ্বুদ্ধ করলেন? অভিনেত্রী বললেন, ‘‘আমি সব জিনিসকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতেই পছন্দ করি। আমার টিমের সদস্যরা আমার পরিবার। তাঁদের যাতে ভাল হয়, কেন তা চাইব না! আসলে, ভালবাসায় ভালবাসা বাড়ে বলেই বিশ্বাস করি।’’ একই সঙ্গে অভিনেত্রী যোগ করলেন, ‘‘জীবন বড্ড ছোট। তাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করে লাভ নেই। তা হলে আমরা কেউ এগোতে পারব না। ’’ মাথার উপর ‘অভিভাবক’ হিসেবে দলের সদস্যদের ভালমন্দের খেয়াল রাখেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু তাঁদের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরিতে অভিনেত্রী সব সময় সমর্থন জোগান। বললেন, ‘‘এখন হয়তো আমি সব সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আমি চাই, ওরাও যেন নিজেদের কেরিয়ার গড়ে তুলতে পারে। কারণ, আমি তো সারা জীবন থাকব না।’’
রবিবার নতুন প্রযোজনা সংস্থার ঘোষণা অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণা। ছবি: সংগৃহীত
নতুন এই প্রযোজনা সংস্থার ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কাজ করবেন ঋতুপর্ণা। পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি এবং তথ্যচিত্রও তৈরি করবে তারা। প্রথম ছবির পরিকল্পনার সলতে পাকানো ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ছবির মুখ্য চরিত্রে ঋতুপর্ণাকেই ভাবা হচ্ছে। ছবির ঘোষণা হতে পারে বছরের শেষে।
রবিবার নতুন এই প্রযোজনা সংস্থার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চৈতী ঘোষাল, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চনা মৈত্র, প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান প্রমুখ। চলতি বছরে ঋতুপর্ণার একাধিক ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তার মধ্যে ‘অযোগ্য’ ও ‘পুরাতন’ উল্লেখোগ্য। পুজোতেও তাঁর একটি ছবি মুক্তি পেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।