মঙ্গলবার রেড রোডে দুর্গা কার্নিভালে (বাঁ দিক থেকে) জুন মালিয়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নুসরত জাহান। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ‘কার্নিভাল’ নিয়ে একাধিক নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে শহর। এক দিকে রেড রোডে রাজ্য সরকারের বর্ণাঢ্য ‘দুর্গা কার্নিভাল’। অন্য দিকে, তার অনতিদূরেই রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। পুজোর কার্নিভালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহান।
মঙ্গলবার টলিপাড়ার সদস্যদের মধ্যে অনেকেই দুর্গা কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন। তারকা বিধায়ক ও সাংসদদের মধ্যে যেমন ছিলেন জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সৌমিতৃষা কুন্ডু। সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাতে হাত রেখে সঙ্গীতের তালে পা মেলালেন। উৎসাহ দিলেন কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীদের।
তবে কার্নিভালে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে নুসরতের উপস্থিতি দেখে অনুরাগীরা সমাজমাধ্যমে নানা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। চলতি বছরে লোকসভা ভোটে বসিরহাট থেকে টিকিট পাননি অভিনেত্রী। নেপথ্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের দাবি ছিল, সন্দেশখালি-কাণ্ডে প্রাক্তন সাংসদের ‘নীরবতা’। এমনও শোনা গিয়েছিল, সময়ের সঙ্গে মমতার সঙ্গে অভিনেত্রীর দূরত্বও বেড়েছে। যদিও নুসরত বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে তাঁকে দেখে খুশি অনুরাগীদের একাংশ। অবশ্য নিন্দকদের একাংশের মতে, দূরত্ব কমাতেই দুর্গা কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন নুসরত।
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের তরফে দুর্গা কার্নিভালের আমন্ত্রণ পান নুসরত। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি কার্নিভালে গিয়েছেন। বিষয়টির মধ্যে ‘রাজনৈতিক সমীকরণ’ খোঁজা উচিত নয়।