‘মঙ্গলদীপ’ ছবির দৃশ্যে তাপস পাল ও সন্ধ্যা রায়।
ও তো আমার ছেলে! ওর চলে যাওয়া নিয়ে বলতে হবে!
আমি আর আমার স্বামী তরুণ মজুমদার প্রথম ওর অডিশন নিয়েছিলাম 'দাদার কীর্তি'-র জন্য। চন্দননগর থেকে আসতো ছেলেটা। বলেছিলাম আমার বাড়িতে থেকে যা। ওই শুরু। আমার যা কিছু সমস্যা ও হাজির।
সে সময় প্রায় ছয় মাস মতো আমার বাড়িতে ছিল তাপস।
মানুষ হিসেবে তাপস কেমন? অভিনেতা হিসেবেই বা কেমন? আমি বলতে পারব না। ঘরের মা-বোনেরা আপনজনকে হারালে যে রকমটা বোধ হয়, তেমনটাই হচ্ছে। খুব স্নেহপ্রবণ একজন মানুষ। এত কম সময়ের জন্য ছেলেটা এল অথচ দেখুন বাংলা সিনেমা, হিন্দি সিনেমা, যাত্রা, রাজনীতি কিছুই বাদ দিল না...
আরও পড়ুন:কলকাতায় ফেরা হল না, মুম্বইয়ে জীবনাবসান তাপস পালের
যে কোনও সমস্যা হয়েছে শুধু এক বার গিয়ে বলেছি “তাপস আমার এই সমস্যা হয়েছে, বল তো কী করি?” সব সময় ছেলের মতো পাশে থেকেছে। আমায় বলতো, “কিচ্ছু ভাবতে হবে না। বেশি চিন্তা হলে আমার কাছে এসে থাকো। মন খারাপ সারিয়ে বাড়ি যেও।”
এই সেদিনও ফোনে কথা হচ্ছিল। বললাম, "আমার শরীর খুব খারাপ" তাতে বলল, “এত চিন্তা কর কেন?তবে পরিশ্রম কমাও এ বার” এই বয়সেও রাজনীতি করতাম বলে অভিমান করত।
আরও পড়ুন: ‘অভিনয় ও রাজনৈতিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি’, তাপস পালের প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
রাজনীতির মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করেছি আমরা। একই সঙ্গে সাংসদ হয়েছি। তার পর বেশ কিছুটা সময় ঝড় বয়ে গেছে ওর উপর দিয়ে।অবশেষে সব ঝড় থেমে গেল...
আমি সন্তানহারা হলাম। যতদিন বাঁচব ওর ছবি নিয়ে বাঁচব।