রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
অধিনায়ক না হয়েও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করলেন রোহিত শর্মা। মাঠে না থেকেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জয়ে ফেরালেন তিনি। ডাগআউট থেকেই তাঁর দু’টি নির্দেশে বদলে যায় খেলার ছবি। টান টান ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে আবার প্লে-অফের লড়াইয়ে ফিরে এসেছে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন দল।
প্রথমে ব্যাট করে ২০৫ রান করেছিল মুম্বই। সেই রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ১৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান ছিল দিল্লির। বাকি সাত ওভারে দরকার ছিল ৬১ রান। দেখে মনে হচ্ছিল, হাসতে হাসতে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ জিতবেন অক্ষর পটেলরা। সেই সময় ডাগআউট বসেছিলেন রোহিত। তাঁর পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামানো হয়েছিল কর্ণ শর্মাকে।
ঠিক তখনই দেখা যায়, ডাগআউটে আলোচনায় ব্যস্ত রোহিত, দলের প্রধান কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে ও বোলিং কোচ পারশ মামব্রে। তার পরেই রোহিত হাতের ইশারায় হার্দিককে কিছু একটা বলেন। হার্দিক গিয়ে আম্পায়ারের কাছে বল বদলের আবেদন করেন। এ বারের আইপিএলে নতুন নিয়ম করা হয়েছে, দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের কারণে বল বেশি ভিজে গেলে বল বদলানো যাবে। তবে সেটা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত উপর নির্ভর করছে। হার্দিকের অনুরোধ মেনে বল বদলান আম্পায়ার।
তার পরেই আবার ডাগআউট থেকে রোহিত নির্দেশ দেন, কর্ণকে বল দিতে। বল বদলানোর পর শুকনো বলে স্পিনারকে আক্রমণে আনতে বলেন তিনি। হার্দিক সেই নির্দেশ পালন করেন। ট্রিস্টান স্টাবস ও লোকেশ রাহুলকে ফেরান কর্ণ। দিল্লিকে বড় ধাক্কা দেন তিনি। সেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি দিল্লি। ১২ রানে ম্যাচ হারে তারা।
মুম্বইকে পাঁচ বার আইপিএল জিতিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত। কিন্তু গত বছর রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করে মুম্বই। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। দলের অন্দরে বিভাজন হয়েছিল। সমর্থকদের একাংশ হার্দিককে বিদ্রুপ করছিলেন। রোহিতও ইঙ্গিতে বুঝিয়েছিলেন, আর মুম্বইয়ে খেলতে চাইছেন না তিনি।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
এ বারও শুরুটা ভাল হয়নি মুম্বইয়ের। দিল্লির বিরুদ্ধে নামার আগে প্রথম পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছিল তারা। রোহিত মূলত ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যাট করছিলেন। ফিল্ডিংয়ে দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। রোহিতের খেলার ইচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে রবিবার রোহিতই দলকে জেতালেন। আরও এক বার তিনি বুঝিয়ে দিলেন, মুম্বইয়ের সাফল্যের জন্য নেতা রোহিতের কতটা প্রয়োজন রয়েছে।