অডিয়ো সিরিজ়ে জুটি বেঁধেছেন পাওলি এবং পরমব্রত। ছবি: সংগৃহীত।
এর আগে ছবিতে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন। এ বার নতুন মাধ্যমে জুটি বাঁধলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পাওলি দাম। অডিয়ো সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন তাঁরা। উৎসব মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিরিজ়ের নাম ‘২০৬৩ থেকে এসেছি’।
৪০ বছর পরের এক মানুষ আজকের সময়ে হাজির হয়েছে। বর্তমান এবং ভবিষ্যতের দুই প্রতিনিধির মধ্যে কথপোকথন শুরু হলে সেখানে কি কোনও দ্বন্দ্ব তৈরি হবে? না কি অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সময়কালটাই কোথাও মিলে যাবে? মনোবিদ নন্দিনী মিত্রর কাছে এসে হাজির হয় রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। রঞ্জনের দাবি, সে এসেছে পৃথিবীকে ভবিষ্যতের এক ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে। নন্দিনী কি রঞ্জনকে বিশ্বাস করবে, না কি রঞ্জনের চিকিৎসার প্রয়োজন? দশ এপিসোডে বিন্যস্ত থ্রিলারে রঞ্জন হয়েছেন পরমব্রত এবং ও নন্দিনীর ভূমিকায় পাওলি।
উৎসব এই প্রথম অডিয়ো সিরিজ় পরিচালনা করলেন। ‘২০৬৩ থেকে এসেছি’র বাংলা চিত্রনাট্যকারও তিনি। বলছিলেন, ‘‘আমি ইংরেজি এবং হিন্দি চিত্রনাট্যকে অনুসরণ করেছি। সঙ্গে নতুন কিছু সিকোয়েন্সও জুড়েছি। ফলে বাংলা সংস্করণটিতে একটা নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।’’ বাংলার ধীরে ধীরে অডিয়ো কনটেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েই উৎসব বললেন,‘‘আমি তো রেডিয়ো শুনে বড় হয়েছি। মা-দিদিমার মুখে গল্প শুনে বাঙালি বড় হয়েছে। এফ-এম আসার পরেও গল্প শোনা জনপ্রিয় হয়। পরম বা পাওলির মতো শ্রোতাদের পরিচিত মানুষ এই মাধ্যমে কাজ করলে শ্রোতারা আরও বেশি করে আকৃষ্ট হবেন।’’
প্রথম অডিয়ো সিরিজ় পরিচালনা করলেন উৎসব মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
স্প্যানিশ লেখক হুলিও রোহাসের ‘কেস ৬৩’ গল্প অবলম্বনে তৈরি এই সিরিজ় ইতিমধ্যেই একাধিক ভাষায় জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে। হলিউডে এই সিরিজ়ে কণ্ঠ দিয়েছিলেন জুলিয়েন মুর ও অস্কার আইজ্যাক। হিন্দিতে ইতিমধ্যেই রিচা চড্ডা এবং আলি ফজ়ল এই কাহিনির রূপদান করেছেন। এ বার বাংলার পালা। বাংলা সংস্করণের অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, চিত্রাঙ্গদা শতরূপা এবং কল্পন মিত্র। রবিবার থেকে স্পটিফাই-তে বিনামূল্যে শোনা যাচ্ছে এই সিরিজ়।