কেমন আছেন অঙ্কুশ? ছবি: সংগৃহীত।
ডান পায়ে সিস্ট হয়েছে তা আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ। বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। শুক্রবার সেই অস্ত্রোপচার হল। সমাজমাধ্যমের পাতায় তা জানালেন অঙ্কুশ নিজেই। সুস্থ আছেন অভিনেতা। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন মুক্তি পেয়েছিল ‘মির্জা’ ছবির প্রথম ঝলক। সেই ঝলক প্রশংসা পেয়েছে দর্শকের। প্রযোজক হিসাবে ‘মির্জা’র হাত ধরে আত্মপ্রকাশ অঙ্কুশের। নিজের প্রযোজনা সংস্থার অধীনে এটাই অঙ্কুশের প্রথম ছবি হতে চলেছে। এমনিতেই ছবি ঘোষণার পর থেকে একাধিক বার নানা সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে। সব সমস্যা পার করে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম ঝলক। তার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই খুশি প্রযোজক-অভিনেতা। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণেই ঠিক করে উপভোগ করতে পারেননি সব কিছু।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঙ্কুশ জানিয়েছিলেন, সিস্টের সমস্যাটি অনেক দিন ধরেই ছিল। ব্যথার ওষুধ খেয়ে এবং ইঞ্জেকশন নিয়েও শুটিং করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগে এই সিনেমারই শুটিং করতে গিয়ে মালাইচাকিতে আঘাত পেয়েছিলেন। তখন সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল ‘মির্জা’র শুটিং। তবে সিস্টটা চিকিৎসক দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে বলেছিলেন। সেই জন্যেই তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া।
বুধবার অর্থাৎ সরস্বতী পুজো এবং প্রেম দিবসের জোড়া উদ্যাপনের দিনই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন অঙ্কুশ। কিন্তু সে দিন আবার তাঁর জন্মদিনও ছিল। যার ফলে এক দিন পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে অঙ্কুশ ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, ‘‘সকলের ভালবাসা এবং আশীর্বাদ নিয়ে, ১৫ দিন ধরে অসহ্য পায়ে যন্ত্রণা নিয়ে ‘মির্জা’র শুটিং শেষ করেছি। ব্যথা যখন অসহনীয় হয়ে উঠত তখন একটা কথাই মনে হত, যে আমি আমার দর্শককে কখনও নিরাশ করব না। অবশেষে অস্ত্রোপচার হল। কিছু দিনের মধ্যেই আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠব। কারণ, আমাকে প্রস্তুত হতে হবে বাংলার সবচেয়ে বড় ‘ডান্স নাম্বার’-এর জন্য।’’ ছবির শুটিং আর দু’দিন এখনও বাকি আছে। তবে বোঝা যাচ্ছে এই ছবিতে অঙ্কুশের নাচের কোনও দৃশ্য থাকবে। সেটারই শুটিং হবে অঙ্কুশ সুস্থ হয়ে ওঠার পর। পোস্টে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিনেতা। এই ছবিতে অঙ্কুশের কী চমক অপেক্ষা করছে, ছবি মুক্তি পেলেই হয়তো তা জানা যাবে।