সানি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
বিনোদনের বাণিজ্যে পারিবারিক মনোমালিন্য থাকার রেওয়াজ দীর্ঘ দিনের। কপূর পরিবার থেকে শুরু করে দেওল পরিবার পর্যন্ত— নামজাদা ফিল্মি পরিবারে ভাই-বোনেদের মধ্যে রেষারেষির ছবি বিরল নয়। কখনও সাফল্যের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে তৈরি হয়েছে সেই রেষারেষি। কখনও আবার স্রেফ পারিবারিক সমীকরণই মনোমালিন্যের মূল কারণ। দেওল পরিবারের এই ঘটনার উদাহরণ আগেও পাওয়া গিয়েছে। ধর্মেন্দ্রের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হেমা মালিনীর দুই মেয়ে এষা ও অহনার সঙ্গে যে তারকার প্রথম পক্ষের দুই সন্তান সানি ও ববি দেওলের সম্পর্ক বিশেষ ভাল নয়— সে সম্পর্কে অবগত বলিপাড়ার সদস্যরা সবাই। সম্প্রতি যদিও সেই সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক শুধরেছে। ‘গদর ২’ ছবির সাফল্যে তিক্ততা কমেছে দুই পক্ষের ভাই-বোনেদের সম্পর্কে। তবে অতীতে নাকি নিজের ভাইয়ের জন্যই ছবি খোয়াতে হয়েছে সানি দেওলকে!
রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কর্ণ অর্জুন’ নব্বইয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল ছবি। শোনা যায়, ওই ছবির জন্য প্রথমে দুই দেওল ভাই সানি ও ববিকে ভেবেছিলেন পরিচালক। অর্জুনের চরিত্রের জন্য সায় দিয়েও দিয়েছিলেন সানি। তার পরেই তিনি জানতে পারেন কর্ণের চরিত্রের জন্য নাকি ববি হ্যাঁ বলেছেন। সেই সময় ছবির নাম ছিল ‘কায়নাত’। কাজলের জায়গায় অভিনয় করার কথা ছিল অভিনেত্রী জুহি চাওলার। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ববি কর্ণের চরিত্রের জন্য রাজি হয়েছেন শুনে ছবি থেকে সরে আসেন সানি। তবে তা অবশ্য কোনও ঝগড়া বা ঝামেলা থেকে নয়। ছবিতে তাঁর মতো এক তারকার উপস্থিতি যাতে তাঁর ভাইয়ের কাজ ঢাকা না দিয়ে দেয়, সেই ভাবনা থেকেই ছবি থেকে সরেন সানি। তার পরে ছবির জন্য শাহরুখ খান ও অজয় দেবগনের কাছে যান রাকেশ।
অর্জুনের চরিত্রের জন্য শাহরুখ সায় দিলেও কর্ণের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হননি অজয়। শেষ পর্যন্ত ওই চরিত্রে অভিনয় করেন সলমন খান। ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে তাঁর রসায়ন এখনও দর্শকের মুখে মুখে ফেরে। ওই ছবিতে যে ‘ব্রোম্যান্স’-এর সূত্রপাত হয়েছিল, ‘পাঠান’, ‘টাইগার ৩’-এর মতো ছবিতে এখনও সমীকরণকেই কাজে লাগিয়ে দর্শক টানছে যশরাজ ফিল্মসের মতো তাবড় প্রযোজনা সংস্থা।