বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায়।
জমির জন্য লড়াই। প্রাণ ভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে রক্তঝরা সময়ের ঐতিহাসিক নাম ‘মরিচঝাঁপি’। বিষয়টি ‘ক্ষুদ্র’ বলে তাকে সরিয়ে রেখেছে ইতিহাস! কিন্তু মানবিক আত্মহননের এই স্মৃতি? তা ফুরোয় না। এ কাহিনি অন্যতম উপেক্ষিত পর্বও বটে। সেই কাহিনির মধ্যে ডুবে আছেন ‘ভায়োলিন প্লেয়ার’-এর পরিচালক বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায়। গবেষণার কাজে সঙ্গে আছেন অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৭৮-৭৯ সালে সুন্দরবনের দুর্গম জনহীন দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে দণ্ডকারণ্য থেকে আসা উদ্বাস্তুদের বসতি গড়ার চেষ্টা এবং সরকারের তরফে বিরোধিতার ঘটনা কেউ মনে রেখেছে, কেউ রাখেনি। বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু লেখালেখি আর প্রতিবাদ সভা হয়েছে। ‘‘আজও এমন মানুষ আছেন, যাঁরা মরিচঝাঁপির নাম শোনেননি!’’—বিস্ময় বৌদ্ধায়নের কণ্ঠে।
আসলে প্রান্তজনের ডাকে সে দিন হয়তো তেমন ভাবে সাড়া দেয়নি বাংলার নাগরিক সমাজ। কিন্তু সমসাময়িক রাজনীতিতে বার বার ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে মরিচঝাঁপির রক্তাক্ত ইতিহাস। হয়তো তার নাম বদল হয়েছে! এই জায়গাকেই ধরতে চাইছেন পরিচালক। আজকের সমাজের প্রেক্ষিতে তাই এই উপেক্ষিত বিষয়কে সামনে আনতে চাইছেন বৌদ্ধায়ন। নিজের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে বিদেশি সংস্থা এই ছবি নির্মাণে উৎসাহ দেখিয়েছে।
কান লায়ন ফেস্টিভ্যাল থেকে সরাসরি আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বললেন পরিচালক।
‘তিনকাহন’-এর পর আবার নতুন বাংলা ছবির কাজে হাত দিচ্ছেন তিনি। বাংলা থেকে খুঁজছেন চিত্রনাট্য উপযোগী মুখ। ফিরে এসেই ‘মরিচঝাঁপি’-র কাজে হাত দেবেন। ছিন্ন দেশের ছিন্ন ইতিহাস এ বার সেলুলয়েডে ফিরবে। সে দিন যারা প্রতিবাদ করেও সাড়া পাননি, তাদের মিলিত কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হবে বৌদ্ধায়নের আগামী ছবিতে।
আরও পড়ুন, প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকার ভূমিকায় সইফ-করিনা!
(সিনেমার প্রথম ঝলক থেকে টাটকা ফিল্ম সমালোচনা - রুপোলি পর্দার বাছাই করা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগ।)
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।