বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করার পরই হুমকি ফোন পাচ্ছেন গায়কের স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি মইনুল আহসান নোবেলের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। কুড়িগ্রামের কলেজে ‘মত্ত’ অবস্থায় স্টেজে তাঁর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে চারিদিকে হইহই পড়ে যায়। এই ঘটনার পরই গায়ককে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠান নোবেলের স্ত্রী সালসাবেল মাহমুদ। তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, এমনটা বার বার জানিয়ে এসেছেন নোবেল। শুধু তা-ই নয়, বিচ্ছেদের কারণে তিনি কতটা অবসাদে রয়েছেন সে কথাও জানিয়েছিলেন গায়ক। তবে এ বার মুখ খুললেন গায়কের স্ত্রী। সালসাবেল নিজের ফেসবুকেই দিন কয়েক দিন আগে লেখেন, ‘‘আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে নোবেলের সঙ্গে ডিভোর্সের কাজ সম্পন্ন করলাম, ধন্যবাদ।’’ মাদক ছাড়তে পারবেন না স্ত্রীকে সাফ জানান গায়ক, দাবি সালসাবেলের। তার পরই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। প্রকাশ্যে জানান সে কথা। তার পর থেকেই নাকি হুমকি ফোন পাচ্ছেন গায়কের স্ত্রী। বেশি কিছু বললে নাকি দু-মিনিটের মধ্যে ‘গুম’ করে দেওয়া হবে বলেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানান সালসাবেল।
নোবেল সারেগামাপা-এ প্রতিযোগী থাকাকালীনই প্রেম সালসাবেলের সঙ্গে। বাড়ির অমতে বিয়ে করেন গায়ক। বিয়ের পর মাস ছয়েক সব ভালই ছিল। তার পর থেকেই বদল লক্ষ করেন সালসাবেল স্বামীর মধ্যে। মদ্যপান, মাদক সেবন থেকে মারধর সবই চলত। সালসাবেল বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পর যখন আমার এবং নোবেলের কথা হয়, আমি তাঁকে শেষ বারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা বলি এবং চিকিৎসা করানোর অনুরোধ করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনও মাদক ছাড়বে না।” নোবেলের এই মাদকাসক্ত হওয়ার পিছনে সালসাবেল দায়ী করেছেন সে দেশের ক্ষমতাশীল লোকেদের। তিনি নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘‘নোবেলের আজকের অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী এমনটা নয়। তাঁর মাদকদ্রব্য জোগান ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশীল মানুষের অবদান রয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশীল ব্যবসায়ী, যাঁদের আগে ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল।’’ সালসাবেল জানান, দরকার পড়লে নাম বলবেন। তবে তার পর থেকেই ক্রমাগত হুমকি ফোন পাচ্ছেন গায়কের স্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রায়ই হুমকি ফোন পাচ্ছি। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর থেকে ফোন আসা শুরু হয়। অনেক ধরনের কল। আমাকে ফোনে বলা হয় তুমি কাদের কথা বলছ ধারণা আছে, কারও নাম এলে তোমাকে দু-মিনিটের মধ্যে গুম করে দেব।’’