(বাঁ দিকে) ছেলে রাজ্যের সঙ্গে পরীমণি। শরিফুল রাজ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক মাস ধরেই স্বামী শরিফুল রাজের থেকে আলাদা থাকছেন বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা পরীমণি। এর মাঝে বুড়িগঙ্গা দিয়ে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। ছেলে রাজ্যের অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তাকে দীর্ঘ দিন ধরে সুস্থ করে তোলা— সবটাই একা হাতে করেছেন অভিনেত্রী। চলতি মাসের ১০ তারিখে এক বছর পূর্ণ করবে রাজ-পরীর ছেলে রাজ্য। এমনিতেই প্রতি মাসে ১০ তারিখে ছেলে জন্মদিনের আয়োজন করে থাকেন। এ বার বর্ষপূর্তি, তাই আয়োজনটাও বড়সড় করছেন অভিনেত্রী। ঢাকার এক বিলাসবহুল হোটেলে হবে ছেলের এক বছরের জন্মদিন। প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ছেলের প্রথম জন্মদিন বলে কথা। খোঁজ পড়ছে রাজ্যের বাবার। কিন্তু খোঁজ পড়তেই কড়া বার্তা দিলেন পরীমণি।
এমনিতে নায়িকাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ব্যক্তিগত জীবনের জন্যই বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর নাম। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য কলহ প্রকাশ্যেই দেখেছেন দর্শক। ফেসবুকে একে অপরকে বিঁধেছেন নানা পোস্টে। যদিও আর হাতে বাকি ৬ দিন। তার পরই ছেলের জন্মদিন। পরীমণি সব দিক সামলালেও দেখা মিলছে না রাজ্যের বাবা রাজের। গত কয়েক দিন ধরেই তিনি দেশছাড়া। শোনা যাচ্ছে আপাতত কলকাতায় রয়েছেন তিনি। কলকাতায় এসে নন্দন চত্বর থেকে ফোন হারিয়ে যায় তাঁর। শত ঝামেলা থাকলেও ফোন হারানোর পর সবার প্রথমে পরীর সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিলেন রাজ। যদি তাতে তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিশেষ উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি ছেলের জন্মদিন প্রসঙ্গে বাবা রাজের ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘বাবা হিসাবে রাজ কোনও দায়িত্বই পালন করল না। বিষয়টি দুঃখজনক। রাজ্য বড় হয়ে যখন জানতে পারবে, তার প্রথম জন্মদিনে বাবা পাশে ছিল না, তখন সেটা রাজ্যের জন্যেও যথেষ্ট কষ্টের এবং দুঃখজনক হবে।’’
খানিক আক্ষেপের সুরেই পরীমণি বলেন, ‘‘ছেলের জন্মদিনের আয়োজনে বাবা হিসাবে একটা ফোন করে পরামর্শ দিতে পারত, করল না। দেশের বাইরে যাওয়ার পর আমিই নিজে থেকেই কয়েক বার ফোন করেছি তাকে। পাল্টা ফোন আসেনি তার তরফে। শুনেছি তার স্মার্টফোনটি হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার আরও একটি ফোনও আছে। সেই নম্বরেও ফোন করেছি, ধরেনি। ফিরতি ফোনও করেনি।’’ শেষমেশ খানিকটা পরীমণি সুলভ আচরণ দেখিয়ে অভিনেত্রী বলেন,‘‘এখন আমি চাই না, রাজ আমার ছেলের জন্মদিনে আসুক।’’