অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক দিন আগের ঘটনা। ঢাকার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বাইরে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে জানানো হয়েছিল, কোনও কারণে অভিযোগ জানাতেই থানাতে গিয়েছেন নায়িকা। যদিও তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অবশেষে আসল বিষয় খোলসা করলেন অপু। বিরক্ত হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন, এমনটাই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘যুগান্তর’-কে জানিয়েছেন তিনি। বেশ কিছু দিন ধরে ফেসবুক এবং ইউটিউব ভরে উঠেছে তাঁকে নিয়ে কুরুচিকর, অপমানজনক মন্তব্যে। যার ফলে তিনি বাধ্য হয়েছেন অভিযোগ জানাতে। সাধারণ ডায়েরি এবং ডিবি অফিসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
রবিবার দুপুরে ঢাকার গোয়েন্দা দফতরে অভিযোগ জানান নায়িকা। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘যুগান্তর’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অপু এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, দ্রুতই সব অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে।” তিনি বলেন, “দেড়-দুই বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে ইউটিউবে ভিডিয়ো তৈরি করে ফেসবুকে নানা ধরনের মানহানিকর, অপমানজনক মন্তব্য করে যাচ্ছে অনেকেই। এতে আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট হচ্ছে।” অপু আরও বলেন, “আমায় নিয়ে যাঁরা ফেসবুক ও ইউটিউবে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, তাঁদের কয়েকটি লিঙ্ক সংগ্রহ করে থানা ও ডিবি অফিসে লিখিত দিয়েছি।”
সম্প্রতি, ব্যক্তিগত কারণে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে নায়িকার নাম। ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে সদ্য আমেরিকা থেকে ঘুরে এসেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন স্বামী শাকিব খান। শোনা যাচ্ছে, আবারও নাকি শাকিবের সঙ্গে সংসার পাতবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অবশ্য কয়েক দিন আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের একসঙ্গে দেখে অনেকেই খুশি। শুভেচ্ছাবার্তাও দিয়েছেন। আনন্দ হয়েছে। তবে আমরা ব্যক্তিগত জীবন কী করব, কোন দিকে এগোবে আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। সেগুলো গোপনই থাক। এখনই জানাতে চাই না।”