শরিফুল রাজ। ছবি: সংগৃহীত।
ছেলে রাজ্যের থেকে অনেক দিন দূরে রয়েছেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। বিভিন্ন কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর নাম। কখনও প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর সঙ্গে স্ত্রী পরীমণির দাম্পত্য কলহ। কখনও আবার তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশি নায়িকাদের গোপন ভিডিয়ো। সেই কাণ্ডের পর থেকেই একসঙ্গে থাকছেন না পরী এবং রাজ। ছেলের থেকেও দূরে। এরই মধ্যে ১১ মাসের রাজ্য খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে একা হতেই সামলাচ্ছেন নায়িকা। এ দিকে একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন রাজের দিকেও। মাঝে শোনা গিয়েছিল, নায়ক নাকি বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছেন। এত দিন আলাদা থাকার পরেও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি অভিনেতা।
তবে ছেলেকে যে মনে পড়ছে সেই আভাসই পাওয়া গেল তাঁর নতুন পোস্টে। তিনি লিখেছেন, “খোকা! নিস্তব্ধতায় তোমার শ্বাস আমার অনেক প্রিয়। তোমাকে চুমু খেতে খুব ইচ্ছা করছে, তোমার স্পর্শ আর ঘ্রাণ চোখটা বন্ধ করলেই মগজে টের পাই। বাবা তোমাকে অনেক মিস্ করছে, অনেক। আব্বাকে একশো কোটি চুমু দিও।” রাজ এবং পরীর সম্পর্ক প্রায় বিচ্ছেদের পথে। আইনি প্রক্রিয়া না হলেও প্রকাশ্যে স্বামীর থেকে ডিভোর্স চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। তার পর থেকে আর ছেলে এবং পরীর সঙ্গে দেখা করেননি রাজ। শুধু তাই নয়, রাজ্যর ১১ মাসের পূর্তির দিনেও পাশে ছিলেন না তিনি। এই পরিস্থিতি যে তাঁর মনেও প্রভাব ফেলেছে সে কথাই আর চেপে রাখতে পারলেন না তিনি।
দু’দিন আগে, নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে একটি ছবি দেন রাজ। তাতেই নেটপাড়ায় বিপুল কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় রাজ্যের বাবাকে। অভিনেতা তাঁর ফেসবুকে একটি মুখাবয়বের ছবি দেন। প্রায় একই সময় পরীমণি ছেলের সিরিঞ্জ ফোটানো হাতের ছবি ভাগ করে নেন। তাতেই শরিফুলের উপর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন নেটাগরিকেরা। রাজের ছবিতে এক জন লেখেন, ‘‘সত্যিই আপনি এই রকমই মুখোশধারী, স্যালুট!’’ আর এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এটাই কি আপনার আসল চেহারা?’’ আর এক জন লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ, এটাই আপনার আসল রূপ। বাবা হিসেবে ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করা উচিত। না কি দায়িত্ব শুধু বন্ধুদের জন্য সীমাবদ্ধ?’’ অভিনেতার পোস্টে ক্রমাগত এই ধরনের মন্তব্য এলেও কাউকেই পাল্টা উত্তর দিতে যাননি রাজ।