(বাঁ দিকে) পরীমণি। শরিফুল রাজ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
শরিফুল রাজ ও পরীমণির ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে প্রায় বছরখানেক হতে চলল। বিয়ের বছর পার হতে না হতেই জটিলতা দেখা দেয় তাঁদের সম্পর্কে। ছেলে পুণ্যের জন্মের পর থেকে বাড়তে থাকে দূরত্ব। শেষ পর্যন্ত ছেলে ও স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন অভিনেতা। তবে বছরখানেক বাদে পরীমণির বাড়িতে হাজির অভিনেতা। মাঝে জল অনেক দূর গড়ায়। রাজকে নিয়ে নানা বিরক্তি, ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। যদিও চুপ ছিলেন রাজ। মাস কয়েক আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী রাজ সম্পর্কে বলেন,‘‘ ও আমার কাছে মৃত।’’ এ বার সেই রাজের জন্যই রান্না করলেন অভিনেত্রী।
তবে এর মাঝেই নাকি বদলে গিয়েছে তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ। মাসখানেক হল অভিনেত্রীর বাড়িতে যাতায়াত বেড়েছে রাজের। সম্প্রতি কয়েকটি অনুষ্ঠানেও দু’জনের দেখা হয়েছে। সন্তানকে দেখার জন্য এরই মধ্যে বেশ কয়েক বার অভিনেত্রীর বাড়িতেও গিয়েছেন শরিফুল। রাজ যে সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন, সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন পরীমণি।
অভিনেত্রী বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অন্য একটি কারণে সে বাড়িতে আসে। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি দেখা করতেও চাইনি। বারণ ছিল, যাতে বাড়িতে না ঢোকে।’’ এরই সঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘কিন্তু কিছু দিন আগে হঠাৎই ও আমার বাড়িতে আসে। বাড়ি ছাড়ার সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল ওঁর। কাগজপত্রগুলো আমি যত্ন করেই রেখে দিয়েছিলাম। এসে নিয়ে গিয়েছে। বেশ অনেক ক্ষণই ছিল। এলে তো আর বার করে দিতে পারি না।’’
তবে ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে পরীমণি জানান, দেখা হয়েছে বাবা-ছেলের। তবে ছেলে নাকি বাবাকে সে ভাবে চিনতে পারেনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘পুণ্য তাঁর সন্তান। আমি রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি। রাজ পুণ্যকে কোলে নিতে চাইলে ও রাজকে বাবা হিসেবে চিনতে পারে না এখন। অথচ আগে রাজ ছাড়া পুণ্য কিছুই বুঝত না। এটি রাজের জন্য নির্মম।’’