দিব্যা দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
মা-বাবা দু’জনেই ডাক্তার। তাই মেয়েকে বিশেষ সময় দিতে পারতেন না তাঁরা। পঞ্জাবের একটি শহরে ছোটবেলা কাটছিল অভিনেত্রী দিব্যা দত্তের। বয়স তখন চার-পাঁচ বছর। একটি সরকারি স্কুলে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এক দিন দিব্যার বাবা জিজ্ঞেস করেন, “আমার বাচ্চা আজ কী শিখেছে?” উত্তরে দিব্যা কয়েকটি গালিগালাজ করেন বাবার সামনে।
মেয়ের কথা শুনে বাবার চোখ কপালে! এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, “সেই ঘটনার পরে বাবা আমার ব্যাগ গোছাতে শুরু করেন। তার পরে দিল্লিতে পিসির বাড়িতে পাঠিয়ে দেন আমাকে।” বাবার মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি। বাবা চলে যাওয়ার পরে পঞ্জাবে মায়ের কাছে ফিরে আসেন তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন দিব্যা।
কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনার জন্য লুধিয়ানা যেতে হত, তাই বাড়ির সামনে সরকারি স্কুলে মেয়ের প্রাথমিক শিক্ষার সিদ্ধান্ত নেন দিব্যার বাবা। সেই স্কুলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী গ্রাম থেকে আসত। তাদের থেকেই সেই কটু কথা শিখেছিলেন দিব্যা। পিসির বাড়ি থেকে ফিরে আসার পরে লুধিয়ানার কনভেন্ট স্কুলে ভর্তি হন দিব্যা। মা, ভাই ও দিদার সঙ্গে থাকতেন অভিনেত্রী।
মজার পরিবেশ ছিল বাড়িতে। নিজেদের মতো করে জীবনযাপন করতেন দিব্যা ও তাঁর পরিবার। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি নিজের মতো করে নাচ করতাম। মা পুরনো দিনের অভিনেত্রীদের মতো সাজগোজ করে দেখাতেন।” তিনি আরও বললেন, “আমরা পচা টম্যাটো নিয়ে বসতাম। যদি ঠিকঠাক না হত, তা হলে একে অন্যকে টম্যাটো ছুড়ে মারতাম। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক।”