কিশোর কুমারকে নিয়ে মুখ খুললেন বাবুল। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের চর্চায় এক সময়ে উঠে আসত কিশোর কুমার ও মধুবালার সম্পর্কের কথা। মৃত্যুর পরেও তাঁদের নিয়ে আলোচনায় ঘাটতি হয়নি। প্রয়াত অভিনেত্রীর বোন মধুর ভূষণের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন গায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
মধুরের দাবি, জীবনের শেষের দিনগুলিতে মধুবালার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন কিশোর কুমার। এই প্রসঙ্গেই দীর্ঘ পোস্ট করেছেন বাবুল। এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রতিচ্ছবি ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম, “মৃত্যুর আগের দিনগুলিতে মধুবালাকে একা ছেড়ে দিয়েছিলেন কিশোর কুমার। প্রয়াত অভিনেত্রীর ফোন ধরতেন না। দাবি অভিনেত্রীর বোন মধুর ভূষণের।”
জবাবে বাবুল বলেছেন, “একেবারে মিথ্যা!! মধুবালাজির বোন, মধুরজি কথা বলতেই থাকেন এবং তার মধ্যে বেশির ভাগই মিথ্যা। যত ক্ষণ না কেউ বিরোধিতা করবেন, তিনি বলতেই থাকবেন। বান্দ্রায় বিখ্যাত দর্জি ‘মাধব টেলর্স’-এর উপর ‘মধুরধ্বনি’ নামে ওঁর একটি স্টুডিয়ো ছিল। তিনি এত কথা বলেছিলেন আমাদের স্টুডিয়োতে কাজ সারতে আট ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। আসলে ওই কাজ শেষ করতে মাত্র ৪ ঘণ্টা লাগার কথা।”
বাবুল তাঁর পোস্টে মধুবালার অসুস্থতা নিয়েও লেখেন। তাঁর কথায়, “সত্যিটা হল, মধুবালাজির হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা ছিল। কিশোর কুমারের বাড়ি ছিল সান্তাক্রুজ় বিমানবন্দরের কাছে। সেই বাড়ির খুব কাছ থেকেই বিমান টেক অফ করত। ফলে সেই আওয়াজে মধুবালাজির শারীরিক অসুবিধা হত। সেই জন্যই কিশোর কুমারের বাড়ি থেকে ওঁকে ওঁর পূর্বপুরুষের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
পোস্টের শেষে বাবুল লেখেন, “রুচিহীন মধুরজি প্রচারে আসার জন্য জঘন্য ও ঘৃণ্য চেষ্টা করলেন মাত্র।”