বাঁ দিকে কঙ্গনা এবং ডান দিকে জয়া বচ্চন।
কঙ্গনা-জয়া তরজায় পাল্লা ভারী জয়া বচ্চনের। বলিসেলেবের বেশির ভাগই সরাসরি পাশে দাঁড়ালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর। তাপসী পান্নু থেকে সোনম কপূর, ফারহান আখতার থেকে নিখিল দ্বিবেদী, প্রকাশ্যে গলা ফাটালেন তাঁর হয়ে।
দিন কয়েক ধরেই সুশান্ত সিংহ রাজপুত আর বলিউডের মাদকযোগ নিয়ে উত্তাল দেশ। এরই মধ্যে গত রবিবার ভোজপুরী অভিনেতা ও বিজেপি সাংসদ রবি কিশন মাদক প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যসভায় বলেন, বলিউডে মাদকের ভাল রকমই ব্যবহার হয়। এনসিবি-র প্রশংসা করে তিনি সরকারের কাছে মাদককাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করার অনুরোধও করেন।
এর পরেই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জয়া পাল্টা বলেন, “শুধুমাত্র কয়েক জনের জন্য পুরো ইন্ডাস্ট্রিকেই কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। রবির মন্তব্য শুনে আমি লজ্জিত বোধ করছি।” এর পরেই রবির সমর্থনে এগিয়ে এসে কঙ্গনা মানালির বাড়ি থেকে জয়াকে সরাসরি লেখেন, “আমার জায়গায় আপনার মেয়ে শ্বেতাকে যদি বলিউডে হেনস্থা হতে হত, মাদক নিতে বাধ্য করা হত, শারীরিক নির্যাতন করা হত, তা হলেও কি আপনি একই ভাবে বলিউডকে সমর্থন করতেন? আপনার ছেলে অভিষেক যদি দুর্ব্যবহার সহ্য না করে গলায় ফাঁস দিত, এই জায়গাটিকে ‘নর্দমা’ বলে মনে হত না আপনার?”
কঙ্গনার এই মন্তব্যে জয়া কিছু না বললেও মুখ খুলেছেন বলিউডের একাংশ। লোকসভায় জয়ার ভিডিয়োটি শেয়ার করে তাপসী লিখেছেন, “আমরা সবসময় সচেতনতা মূলক প্রচারের পাশে থেকেছি। এটাই পে-ব্যাক টাইম। ইন্ডাস্ট্রির আরও এক নারী এগিয়ে এলেন। শ্রদ্ধা।” থেমে থাকেননি ফারহান আখতারও। তিনি লেখেন, “যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই উনি সরব হয়েছেন।” সোনম আবার ভবিষ্যতে হতে চেয়েছেন জয়ার মতো। অভিনেতা নাগমাও পাশে দাঁড়িয়েছেন জয়ার। তিনি লিখেছেন, “আই স্ট্যান্ড উইথ জয়া বচ্চন।” পরিচালক অনিল শর্মাও আপ্লুত। তিনি লিখেছেন, “জয়াজি আপনি গোটা ইন্ডাস্ট্রির আওয়াজ। আপনাকে অনেক অনেক প্রণাম।” যদিও এই গোটা ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি অমিতাভ।