রাসমণি এবং গদাধর
রানির জীবনাবসান। গত চার বছর ধরে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে রানিমার জীবন, তাঁর পরিবার, সমাজের কল্যাণে তাঁর অবদান— এই ঘটনাবলীর সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন দর্শক।
কিন্তু মানুষের মৃত্যু তো অনিবার্য। রানিও বিদায় জানালেন। তবে গল্প এগোবে। রানির মৃত্যুর পরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বাকি ইতিহাস তুলে ধরা হবে। সারদামণি ও রামকৃষ্ণের জীবনযাত্রা দেখানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন, গল্পের কেন্দ্রে থাকবেন রামকৃষ্ণ ও সারদামণি, আর ধারাবাহিকের নাম ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’?
ধারাবাহিকে গদাধর চরিত্রের অভিনেতা সৌরভ সাহার কাছে প্রশ্ন রাখল আনন্দবাজার অনলাইন।
সৌরভ বললেন, ‘‘এক জন মানুষ মারা গেলেও তাঁর কর্মকাণ্ডগুলো থেকে যায়। রাসমণির জন্য বাঙালির উত্তরণ, সমাজে সর্বধর্ম সমন্বয় ঘটেছে। সে সব ভুলে গেলে তো ধারাবাহিক এগোবে না। একটা ধারাবাহিক শুরু হয়েছে যাঁর গল্প দিয়ে, যাঁর নামে, তা মুছে দেওয়া যাবে না ধারাবাহিক থেকে।’’ তবে একইসঙ্গে তিনি জানালেন, নামে কিছু পরিবর্তন হবে নিশ্চয়ই। রানিকে ব্রাত্য করা হবে না কোনও ভাবেই। নামকরণ নিয়ে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হলেন না গদাধর।
গদাধর-সারদামণি
সৌরভের কথায়, ‘‘রানিমাই গদাধরকে বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন। তাঁকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। রাসমণিই বুঝেছিলেন যে তাঁর ভাবনা চিন্তাকে রূপ দিতে পারেন ওই মানুষটা। তা হলে গদাধরের গল্প জানতে হলে রানিমার জীবনে আলোকপাত করতেই হবে।’’
সৌরভের কাছ থেকে জানা গেল, গদাধর থেকে সেই মানুষ কী ভাবে রামকৃষ্ণ হয়ে উঠলেন, সেই গল্পের দিকে এ বার এগোবে ধারাবাহিক। একইসঙ্গে সমাজে সারদার অবদান, তাঁদের সংসার, জানবাজারে রানির পরিবারের সদস্যদের গল্পও দেখানো হবে।