আরশাদ ওয়ারসি। ছবি: সংগৃহীত।
আড়াই দশকের বেশি অভিনয় জগতে আছেন তিনি। কিন্তু আরশাদ ওয়ারসির আক্ষেপ, অভিনেতা হিসাবে এখনও তাঁকে ঠিকঠাক ব্যবহার করা হয়নি। আরও বেশি সংখ্যক কাজ করতে পারতেন, এমনটাই মনে করেন তিনি।
১৯৮৭ সালে ‘ড্রামা কাশ’ ছবিতে পরিচালক মহেশ ভট্টের সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন আরশাদ। পরে ‘রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা’ ছবির টাইটেল ট্র্যাকটির কোরিয়োগ্রাফি করেন। ১৯৯৬ সালে ‘তেরে মেরে সপনে’ ছবিটি দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
২০০৫ সালে ‘সেহর’ ছবিতে তাঁর কাজ সমালোচকদের বাহবা পায়। ২০০৩ সালে রাজকুমার হিরানির ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এ অভিনয় করেই অবশ্য রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। তার পর আর তেমন স্পটলাইটে থাকেননি। কিন্তু কেন?।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সব সময়ই মনে করি অভিনেতা হিসাবে কম ব্যবহার করা হয়েছে আমাকে। আমি জানি, আরও অনেক কাজ করতে পারতাম। সব অভিনেতাই এমনটা ভাবেন অবশ্য, তবে আমার সত্যিই মনে হয়, আরও বেশি কাজ করানো যেত আমায় দিয়ে।”
অনেক কাজ শেষ মুহূর্তে হাতছাড়া হয়েছে বলেও দাবি আরশাদের। তিনি সেই প্রসঙ্গে বলেন, “এমন অনেক কাজ আমি করব বলে কথাবার্তা পাকা হয়ে গিয়েছিল, শেষ মুহূর্তে দেখলাম, অন্য কোনও অভিনেতা সেটা করছেন। আমার মনে হয়েছিল, এমনটা করা উচিত নয়। আমি অনেক ভাল কাজ করতে পারতাম।” প্রতিভার প্রকাশ ঠিকমতো করা গেল না বলে আফসোস রয়েই গিয়েছে আরশাদের।
‘অসুর’- এর দ্বিতীয় সিজ়নে এখন দেখা যাচ্ছে আরশাদকে। এর পরিচালক অনি সেন। আরশাদের সহ-অভিনেতা হলেন বরুণ সোবতি, রিদ্ধি ়ডোগরা, অনুপ্রিয়া গোয়েনকা প্রমুখ।