অরিজিৎ সিংহ
করোনামুক্ত হয়েও প্রাণে বাঁচলেন না অরিজিৎ সিংহের মা। বুধবার রাত ১১টায় প্রয়াত হন ৫২ বছরের অদিতি সিংহ। চলতি মাসের শুরুর দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। প্রয়োজন পড়ে এ নেগেটিভ রক্তের। সাধারণ মানুষ এবং খ্যাতনামীদের সহায়তায় রক্তের ব্যবস্থা হয়। সুস্থ হয়ে ওঠেন গায়কের মা। ১৭ তারিখ, অর্থাৎ ৩ দিন আগে করোনামুক্ত হন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেরিব্রাল স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
স্বেচ্ছাসেবী সুদেষ্ণা গুহর সৌজন্যে নেটাগরিকদের কাছে খবর পৌঁছায়, অরিজিৎ সিংহের মা অসুস্থ। এ নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন। তখনও তাঁর রোগ সম্পর্কে তথ্য ছিল না কারও কাছে। নেটমাধ্যম থেকেই খবর পেয়ে ‘ব্লাডমেটস’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। রক্তের বন্দোবস্ত হয়ে যায়।
সেই সময়ে অরিজিৎ কলকাতায় ছিলেন না। কিন্তু ফোনে ফোনে সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। রাজ্যবাসীর সাহায্য পেয়ে আপ্লুত গায়ক নেটমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমার বিনীত অনুরোধ, এই সময়ে যাঁরা আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন, দয়া করে আমার নাম দেখে অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করবেন না। আমরা প্রত্যেককে সমানভাবে সম্মান করতে না পারলে, এই বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারব না। যাঁরা আমাকে সাহায্য করেছেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সব মানুষই সমান গুরুত্বপূর্ণ’।
চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। তবুও চলে গেলেন গায়কের মা। এমনকি ‘ইকমো’-র সাহায্যও লেগেছিল তাঁর। বুধবার রাতেই হাসপাতালে অদিতি সিংহ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় দেহ।