সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ঘটনার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন রহমান। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের অন্যতম নামজাদা সঙ্গীত পরিচালক তিনি। বিশ্বজোড়া খ্যাতি তাঁর। দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন অস্কারের মঞ্চেও। সাধারণ ভাবে নিজের কাজের জন্যই প্রচারের আলোয় থাকেন অস্কারজয়ী সুরকার এআর রহমান। স্বভাবজাত ভাবে স্বল্পভাষী হওয়ায় ক্যামেরার সামনে বেশ মুখচোরা তিনি। তবে সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ঘটনার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন রহমান। সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে বিস্মিত নেটাগরিকরা।
এখনও পর্যন্ত হিন্দি-সহ একাধিক ভাষায় সুরকার হিসাবে কাজ করেছেন এআর রহমান। তাঁর সৃষ্টি করা একাধিক গানের রিমেকও হয়েছে। যদিও নিজে কখনও এই রিমেকের সংস্কৃতিকে সমর্থন করেননি অস্কারজয়ী সুরকার। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে রিমেক নিয়ে নিজের অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন একাধিক বার। তার পরেও যদিও রমরমিয়ে রিমিক্স করা হয়েছে তাঁর সুর দেওয়া গানের। এ বার সমাজমাধ্যমে এমনই এক ঘটনার কথা শেয়ার করলেন রহমান। সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, দর্শকাসনে বসে রয়েছেন বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী স্টিং। তাঁর সামনে মঞ্চে পারফর্ম করা হচ্ছে তাঁরই গান। অথচ পারফরম্যান্সে যে একেবারেই সন্তুষ্ট নন স্টিং, তা স্পষ্ট সঙ্গীতশিল্পীর চোখমুখের অভিব্যক্তিতেই। ভিডিয়োর বিবরণীতে লেখা, ‘‘চোখের সামনে বসে স্টিং নিজের গানকে খুন হতে দেখছেন।’’ সমাজমাধ্যমের পাতায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ওই ভিডিয়ো। রহমান ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘‘আমিও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি।’’ প্রত্যক্ষ ভাবে কাউকে নিশানা না করলেও রহমানের লেখায় কটাক্ষের সুর স্পষ্ট।
সম্প্রতি ‘ওকে জানু’ ছবিতে এআর রহমানের সুর দেওয়া ‘হম্মা হম্মা’ গানটির রিমেক ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে। রিমেক করা হয়েছে ‘দিল্লি ৬’ ছবির ‘মসাকলি’ গানটিরও। দুই ক্ষেত্রেই নিজের গানের রিমেক নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন এআর রহমান।