মুক্তি পেল ছবির টিজার পোস্টার।
অপুকে মনে আছে তো বটেই! অপু, অর্থাত্ অপূর্ব। আপনি যদি বাঙালি হন, নামটা শুনলেই হয়তো মনে পড়বে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মুখ। কারণ বড়পর্দায় সৌমিত্রকে ‘অপু’ হিসেবে চিনিয়েছিলেন স্বয়ং সত্যজিত্ রায়। সেই অপু যদি আবার ফিরে আসে? ফিরে আসে ছেলের হাত ধরে?
ঠিক এই ভাবনা থেকেই ছবি তৈরি করছেন পরিচালক শুভ্রজিত্ মিত্র। ছবির নাম ‘অভিযাত্রিক’। ৬০ বছর পর ফিরছে অপু।
ভাবনা কী ভাবে এল? শুভ্রজিত্ বললেন, ‘‘সিনেমার ছাত্র বা দর্শক হিসেবে অপুর জার্নি সব সময় ফ্যাসিনেট করেছে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপরাজিত’ উপন্যাসের ৬০ শতাংশ নিয়ে দু’টো ছবি হয়েছে। কিন্তু অপুর ছেলে অর্থাত্ কাজলের সঙ্গে জার্নিটা বাকি। এটা আমাকে ভাবাত। অপরাজিত উপন্যাসের শেষ ৪০ শতাংশ নিয়ে আমার ছবি।’’
আরও পড়ুন, ‘সোহিনীর সঙ্গে প্রেমের পর স্যারকে বলেছিলাম, ওকে বিয়ে করতে চাই’
১৯৫৯-এ অপুর শেষ ছবি মুক্তি পেয়েছিল। ছেলেকে কাঁধে তুলে বেরিয়ে গিয়েছিল সে। ফিরছে সেই অপু। ছেলের হাত ধরে। ঠিক ৬০ বছর পর, এই ২০১৯-এ। গরম, বর্ষা এবং শরত্— এই তিন ঋতুকে ছবিতে রাখতে চান শুভ্রজিত্। সেই মতোই হবে শুটিং। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০১৯-এর শেষেই মুক্তি পাবে এই ছবি।
আরও পড়ুন, সমপ্রেমের ঘর বাঁধার স্বপ্ন কি সফল হবে? দেখুন ‘নগরকীর্তন’-এর ট্রেলার
‘অপু’র সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্বয়ং সত্যজিত্ রায়ের নাম। তাই এই ছবি করতে গিয়ে কতটা টেনশনে শুভ্রজিত্? পরিচালক মনে করিয়ে দিলেন, শুধু সত্যজিত্ নন। রবিশঙ্কর, সুব্রত মিত্রর মতো বহু কিংবদন্তি জড়িয়ে ছিলেন ওই ছবির সঙ্গে। ‘‘নিজের দক্ষতাতে বিশ্বাস রেখে সততা যদি বজায় রাখা যায়, সেটা কিন্তু বড়পর্দায় বোঝা যায়’’ আত্মবিশ্বাসী পরিচালক।
পরিচালক শুভ্রজিত্ মিত্র।
বাংলায় তৈরি হওয়া আন্তর্জাতিক এই ছবির পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছেন মধুর ভাণ্ডারকর। প্রযোজনার দায়িত্বে গৌরাঙ্গ ফিল্মস। তবে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করছেন বা ক্যামেরার পিছনে কোন টিম কাজ করছে, তা এখনই বলতে চান না শুভ্রজিৎ। শুধু হেসে বললেন, ‘‘আমাদের ইন্টারন্যাশনাল কাস্ট অ্যান্ড ক্রু। শুধু এটুকু বলব, কাস্টের সকলেই বাংলাভাষী।’’
(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)