হাতে ঢাকের কাঠি পেয়েই তিনি অন্য অপরাজিতা!
একটা বছর পুজো থেকে দূরে। কারণ, কোভিড। গত বছর ষষ্ঠীর দিনেই হাতে এসেছিল কোভিড পরীক্ষার ফলাফল। অপরাজিতা আঢ্য জেনেছিলেন, তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ। সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ঘরবন্দি করে নিয়েছিলেন। দেবী প্রতিমার মুখ দেখেননি। অংশ নেননি পুজোর কোনও অনুষ্ঠানে। এ বছর অভিনেত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ। ষষ্ঠীতে তাই তিনি ৬৬ পল্লির পুজোয়। মণ্ডপে ঢাক বাজিয়ে বাজিমাত করলেন ছোট পর্দার ‘পাড়ি’। মনেপ্রাণে উপভোগ করলেন প্রথম দিনের উৎসব।
এ বছর ৬৬ পল্লির পুজোর বিশেষত্ব, সব কাজ সামলাচ্ছেন মেয়েরাই। যেমন, পুজোর পৌরোহিত্যে মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক। রয়েছেন এক দল মহিলা ঢাকি। সেখানেই ঢাক বাজাতে দেখা গেল ‘প্রাক্তন’ ছবির ‘মালিনী’কে। অপরাজিতা মানেই সনাতনী সাজ। লাল শাড়ি, গয়নায় ঝলমলে তিনি। খোঁপা জুড়ে লাল ফুল। হাতে ঢাকের কাঠি পেয়েই তিনি অন্য অপরাজিতা! প্রথমে ধীর লয়ে বোল তুললেন। শেষে উদ্দাম ছন্দে বেজে উঠল তাঁর ঢাক। তাঁকে সঙ্গ দিলেন বাকি মহিলা ঢাকিরা।
প্রসঙ্গত, 'চিনি’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই করোনা হয়েছিল অপরাজিতার। সেটা ছিল পুজোর সময়। পরে বাড়ির প্রায় সকলেই অতিমারিতে কাবু। অভিনেত্রীর থেকে শাশুড়ি, ননদ, খুড়শ্বশুর-- সংক্রমিত হয়েছেন সবাই। পরে অপরাজিতা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, ঈশ্বরের আশীর্বাদে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। তবে সংক্রমণের ভয়ে বাড়ির বারান্দাতেও পা রাখেননি তিনি। দেবী প্রতিমার মুখ দেখেননি। এক বছর নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন সমস্ত আনন্দ থেকে। পরের বছর সুদে-আসলে পুষিয়ে নেবেন বলে।