বলি তারকারা যেখানেই যান সঙ্গে অন্তত এক জন দেহরক্ষী থাকেন। তাঁদের ছবিগুলি লক্ষ্য করলে খুব সহজেই সেই দেহরক্ষীকে চিহ্নিত করা যায়। মূলত কালো পোশাক পরে থাকেন। চোখে থাকে কালো কাচের চশমা।
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ঝড় সামলে এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তারকাদের রক্ষা করেন তাঁরা।
এ রকমই এক জন হলেন সনু। অনুষ্কা শর্মার দেহরক্ষী। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে প্রায় দেখাই হয় না সনুর।
শুধু মাসের শুরুতে পরিবারের কাছে মাইনের একটা অংশ পাঠিয়ে দেন। বাকি সময় অনুষ্কার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।
সোনুর প্রকৃত নাম প্রকাশ সিংহ। কখনও তাঁকে খুব বেশি কথা বলতে দেখা যায় না। বরং সব সময় সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেন অনুষ্কার চারপাশে।
ন’বছর ধরে অনুষ্কার ছায়াসঙ্গী হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। দেশ হোক বা বিদেশ, অনুষ্কা যেখানেই যান না কেন সঙ্গে সনুকে নিয়ে যান।
এই ন’বছরে অনুষ্কার বিশ্বাস অর্জন করে তাঁর পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছেন সনু।
সনু এখন আর শুধু অনুষ্কাকেই নিরাপত্তা দেন না, বিয়ের পর থেকে তাঁর দায়িত্ব দ্বিগুণ হয়েছে। ভারতের ক্রিকেট অধিনায়কেরও নিরাপত্তার দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে তাঁর উপরই।
অনুষ্কা প্রতি বছরই সনুর জন্মদিন পালন করেন। কেক টাকা, ভুরিভোজ— সবই থাকে তালিকায়। স্ত্রী অনুষ্কার পথে হেঁটে বিরাটও সনুকে বেশ গুরুত্ব দেন।
‘জিরো’-র শ্যুটিং চলাকালীন সনুর জন্মদিন পড়েছিল। শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলেও অনুষ্কা কিন্তু সেটি ভুলে যাননি। শ্যুটিং সেটেই সকলের সঙ্গে সনুর জন্মদিন পালন করেছিলেন।
অনুষ্কা যখন সন্তানসম্ভবা ছিলেন, অতিমারির মধ্যেও সনু তাঁর খেয়াল রেখেছিলেন। নায়িকা কর্মসূত্রে বাইরেই থাকতেন বেশির ভাগ সময়। তাঁর পিছনে ছুটতে হল সনুকেও।
সে সময় সনুকে দেখা গিয়েছিল মাস্ক এবং পিপিই কিট পরে থাকতে। গরমে কষ্ট হলেও নায়িকার সুরক্ষার কথা ভেবে কখনও মুখ থেকে মাস্ক সরাতেন না তিনি। সারা দিন গায়ে থাকত পিপিই কিট।
মেয়ে ভামিকার জন্মের পর বিরাট এবং অনুষ্কাকে গাড়ি চালিয়ে ডাক্তারের ক্লিনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন সনু। ভামিকার জন্মের পর প্রথম সেই ছবি ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়।
অনুষ্কার এই ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর মাইনে কত জানেন?
বলিউড তারকারা তাঁদের সুরক্ষার জন্য মোটা টাকা খরচ করে থাকেন। শাহরুখ থেকে সলমন, করিনা কপূর থেকে অনুষ্কা, সকলেই এই বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব দেন।
অনুষ্কার দেহরক্ষী সনুর মাইনে শুনে বিস্মিত হবেন না। তাঁর মাইনে শুনে যে কোনও কোম্পানি সিইও-ও লজ্জা পেতে পারেন।
বছরে এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা পান তিনি। অর্থাৎ প্রতি মাসে তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা করে ঢোকে।