অভিনয় করতে এসে কীসে জড়িয়ে পড়লেন অনুষা?
টলিউডে এসে কোনও দিন কু-প্রস্তাব পেয়েছেন অনুষা বিশ্বনাথন? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন শুনে একটু যেন থতমত ‘জেনারেশন আমি’র ‘পিয়া’। তার পরেই বড় শ্বাস ছেড়ে দাবি, দাদু এন বিশ্বনাথন। বাবা অশোক বিশ্বনাথন বিনোদন দুনিয়ার মানুষ। তাই হয়তো সরাসরি তাঁকে কেউ কু-প্রস্তাব দেওয়ার সাহস করেনি। কিন্তু অনেক সময়েই অন্য ধরনের বার্তা এসেছে মোবাইলে।
বাস্তবে সমস্যায় না পড়লেও পর্দায় কিন্তু সম্প্রতি এ রকমই ঘটেছে অনুষার সঙ্গে। শুভ্র রায়ের আগামী ছবি ‘ঘুণ’-এ তাঁর অভিনীত চরিত্র ‘সিমি’ বাবা ‘বিক্রম’-এর একা হাতে মানুষ। বাবার জেদের বিরুদ্ধে গিয়ে বিনোদন দুনিয়ায় এসে সে জড়িয়ে যাবে দেহব্যবসায়।
সত্যিই কি বিনোদন দুনিয়া এ রকমই? অনুষার দাবি, ‘ফ্যাশন’ ছবিও বিনোদন দুনিয়ার অন্ধকার দিক দেখিয়েছে। চাকচিক্য আর ঝলমলানো আলোর পিছনে যে অন্ধকারও থাকে, সে কথা সকলেরই জানা। তাই অভিনয় জীবনের একেবারে শুরুর দিকে মহড়া শেষে দেরিতে বাড়ি ফেরার জন্য বকুনিও খেয়েছেন অনুষা। তাঁর কথায়, ‘‘দাদু, বাবা অভিনয় দুনিয়ার হলেও মা মধুমন্তী মৈত্র অভিনয় দুনিয়ার নয়। কিছুতেই ওঁরা বুঝতে চাইতেন না, এটাও পেশা। কাজের সূত্রেই রাত ১০টার পরে আমাকে বাইরে থাকতে হতে পারে।’’
পর্দার গল্পে সিমি আর তার বাবা বিক্রমের মতোই ভাল নেই শহর কলকাতার আরও চার জন নারী-পুরুষ। পুনম, জয়, অমিত ও বিনীতা। প্রত্যেকেই কোনও না কোনও ভাবে সম্পর্কের বেড়াজালে আটকে। এবং সেই সম্পর্কে ঘুণ ধরেছে। তারই কাহিনি উঠে আসবে শুভ্রর ছবিতে। সিমির বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক ঘোষ। দুই যুগলের চরিত্রে সৌরভ দাস, পৌলমী দাস, সমদর্শী দত্ত, শুচিস্মিতা ঠাকুর। ছবিতে বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, রবিরঞ্জন মৈত্রকে। গল্প ও চিত্রনাট্যে সৌরভ মালাকার, বিশ্বজিৎ মজুমদার। গানে রূপঙ্কর বাগচী, ইমন চক্রবর্তী। ছবিটি দেখা যাবে ক্লিক ওয়েব প্ল্যাটফর্মে।